দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে আরও দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলমান থাকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এনটিআরসি এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল হাওলাদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মার্চ মাসে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর এখন করোনা পরিস্থিতিতে জনজীবন ছবির হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া ছাড়া গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন গ্রহণের বিষয় কিছুই ভাবা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একক নিয়োগের চেয়ে রিট মামলা করেছিল প্রার্থীরা। সে রায়ের ১৩তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের নিয়োগের রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এনটিআরসিএ। গত ১২ মার্চ আপিল শুনানি শেষে রায়ের ওপর কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রায়ের ওপর পর্যবেক্ষণ দিলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি উচ্চ আদালত। লিখিতভাবে সে পর্যবেক্ষণ এনটিআরসিএতে আসবে। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। পড়না ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সব অফিসের সাথে আদালতও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই পর্যবেক্ষণে লিখিত কপি এখনো পাওয়া যায়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণের লিখিত কপি দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় এনটিআরসিএ। পর্যবেক্ষণের লিখিত কপি হাতে পাওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
ইতোমধ্যে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি শুরু করেছে এনটিআরসিএ। দেশের সাড়ে ১৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। আর গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে আবেদন গ্রহণ করতে কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটককে সফটওয়্যার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।