দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আগামী মার্চ মাসে প্রকাশ করা হতে পারে। দেশের সাড়ে ১৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদে নিয়োগে আগামী মার্চ মাসে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের প্রস্তুতি নিতে কারিগরি সহায়তা দানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত সভা শেষে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এনটিআরসিএ কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এনটিআরসিএর ওই কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করার পরেও তার এমপিও হয়না শূন্যপদের ভুল তথ্যের কারণে। যা প্রার্থীদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। ২য় চক্রের শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া কয়েকশ শিক্ষক এ জটিলতার কারণে এখনও এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি। পরবর্তী নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়ায় যাতে এ জটিলতার সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হবে। সর্বশেষ যাচাই শেষে অর্ধলক্ষাধিক শূন্যপদ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশ করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর ওই কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শূন্যপদের তথ্যে এখনো কিছু ভুল আছে বলে আমরা ধারণা করছি। বেশ কয়েকজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তথ্য সংশোধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তখন সে সময় বাড়ানো হয়নি। এনটিআরসিএ ক্লিন নিয়োগ দিতে চায়। শূন্যপদের তথ্যে কোন ভুল পুরোপুরি সংশোধনের আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন নিতে চায়না এনটিআরসিএ। শূন্যপদের ভুল তথ্য সংশোধনের পর আগামী মার্চ মাসে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। ই রিকুইজিশন শেষ হওয়ার পর শূন্যপদের তথ্য ছিল ৫৯ হাজারের বেশি। কিন্তু যাচাইয়ে সে সংখ্যা কমেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৫৭ হাজরের বেশি শূন্যপদ রয়েছে। দেশের ১৯ হাজার ৪৭১টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্যপদের তথ্য দিয়েছেন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ দিতে কার্যক্রম শুরু করেছে এনটিআরসিএ।