৩০ বছরেও সমাধান হয়নি জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পানির সঙ্কট - দৈনিকশিক্ষা

৩০ বছরেও সমাধান হয়নি জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পানির সঙ্কট

যশোর প্রতিনিধি |

যশোরের কেশবপুরে উত্তর জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ সঙ্কট নিরসনে সাড়ে ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ রুম বিশিষ্ট একটি ভবন বরাদ্দ দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়া আর্সেনিক মুক্ত সুপেয় পানির কোন ব্যবস্থা না থাকায় যুগ যুগ ধরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে উত্তর জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ১৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

কক্ষ সঙ্কটের কারণে শিশু শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর পাঠদান চলত বারান্দায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে ৭টি রুমের প্রয়োজন থাকলেও ছিল ৩টি। একই রুমে চলতো ২টি শ্রেণীর পাঠদান। এ সমস্যা নিরসনে শিক্ষকদের বসার কোন ববস্থা না রেখে অপরিকল্পিতভাবে ৪ রুমের জায়গায় বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ রুম বিশিষ্ট একটি ভবন। গত ২৭ মে থেকে ৫৬ লাখ ৬২ হাজার ৮শ’ ৩২ টাকা ব্যয়ে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। একই বছরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেয়া হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই বিদ্যালয়ে ঠিকাদার গভীর নলকূপ বসাতে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৩ দিন কাজ করার পর অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদার গভীর নলকূপ স্থাপন না করে যাবতীয় মালামাল নিয়ে চলে আসে। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের ভাগ্য খারাপ। তা নাহলে ৪টি শ্রেণীকক্ষের জায়গায় কেন ৩টি হবে! গভীর নলকূপ বরাদ্দ হলেও কেন ঠিকাদার তা না বসিয়ে চলে গেল। ফলে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে চলে আসা সমস্যার আজও সমাধান হলো না।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের কক্ষ সঙ্কটের বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। বরাদ্দের বাইরে তাদের করার কিছুই নেই। এছাড়া টিউবয়েল না পোতার খবর পেয়ে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান উপযুক্ত লেয়ার না পাওয়ায় ফিরে এসেছি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠিকাদার গভীর নলকূপ বসাতে গিয়েছিল। কিন্তু না বসিয়ে চলে আসার খবর জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.024792909622192