৩৫৬ স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য - দৈনিকশিক্ষা

৩৫৬ স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

নেত্রকোনা প্রতিনিধি |

নেত্রকোনার ৩৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার (এইউইও) ১৭টি পদও শূন্য রয়েছে এ জেলায়।  এর মধ্যে কেন্দুয়া, পূর্বধলা, কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও খালিয়াজুরি উপজেলায় শূন্য পদের সংখ্যা বেশি। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র  দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, জেলায় নতুন সরকারিকৃত স্কুলসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১ হাজার ৩১৪টি। বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮৬ জন ছাত্রী রয়েছে। আর প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৩১০।

এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষক মিলে অনুমোদিত পদ ৭ হাজার ৭০৬টি। কর্মরত ৬ হাজার ৯০৮ জন। প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ আছে ১ হাজার ২৯৫টি। বাকি ১৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কোনো অনুমোদিত পদ নেই। আর অনুমোদিত পদের মধ্যে কর্মরত ৯৩৯ জন। বাকি ৩৫৬টি বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সূত্র জানায়, কলমাকান্দা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের ১৫৯টি পদের মধ্যে ৩৪টি, আটপাড়ায় ১০৩টির মধ্যে ১৬, কেন্দুয়ায় ১৮২টির মধ্যে ৭৪, দুর্গাপুরে ১২৬টির মধ্যে ২০, সদরে ২০১টির মধ্যে ২৬, পূর্বধলায় ১৭৫টির মধ্যে ৬৭, বারহাট্টায় ১০৯টির মধ্যে ৩৬, মদনে ৯৩টির মধ্যে ২৭, মোহনগঞ্জে ৮৮টির মধ্যে ২৪ ও খালিয়াজুরিতে ৫৯টির মধ্যে ৩২টি পদ শূন্য রয়েছে। আর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ৪৬টি পদের মধ্যে ১৭টি শূন্য আছে। এর মধ্যে আটপাড়ায় ৪টি পদের মধ্যে ২, কলমাকান্দায় ৫টির মধ্যে ৩, কেন্দুয়ায় ৭টির মধ্যে ৩, দুর্গাপুরে ৪টির মধ্যে ৩, সদরে ৭টির মধ্যে ১, পূর্বধলায় ৬টির মধ্যে ১, বারহাট্টায় ৪টির মধ্যে ২, মদনে ৩টির মধ্যে ১ ও মোহনগঞ্জে ৪টির মধ্যে ১টি পদ শূন্য রয়েছে। এই পদগুলো ৩ থেকে ৭ বছর ধরে শূন্য।

পূর্বধলা, মদন, কেন্দুয়া ও কলমাকান্দার অন্তত ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তাঁরা এখন সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দ্বৈত ভূমিকা পালন করছেন। প্রশাসনিক দিক সামলানোর পর প্রতিদিন কারও কারও সাত-আটটা ক্লাস নিতে হয়। এতে তাঁদের রীতিমতো হিমশিম পেতে হচ্ছে। একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। 

এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও মদন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার সূত্রধর সাংবাদিকদের বলেন, পদ শূন্য থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দিয়ে সবকিছু ঠিকভাবে করা যায় না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ১৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ অনুমোদিত হয়নি। এ ছাড়া ৩৫৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। ৯টি উপজেলায় ১৭ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য। এছাড়া ৫ জন উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, ৭ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ৮ জন হিসাব সহকারী ও ৬ জন এমএলএসএস পদ শূন্য। তিনি বলেন, বিষয়টি বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064501762390137