বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ থাকার পরও ৩৬তম বিসিএস-এ নিয়োগ না পাওয়া ৩৮ জনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পিএসসির সুপারিশের দিন থেকে তাদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এক রায়ে এ নির্দেশ দেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়াইশ-আল-হারুনী। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর ৩৬তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ করে। এরপর ২২০২ জনকে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে সরকার। বাকী ১২১ জনকে নিয়োগ দেয়নি। নিয়োগ বঞ্চিতদের মধ্যে বঞ্চিত ৩৮ জন নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন।
রায়ের পর অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের জানান, ৩৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্যে ২৩২৩ জনকে নিয়োগ দিতে পিএসসি সুপারিশ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২২০২ জনকে নিয়োগের জন্য গেজেট জারি করে। কিন্তু রিট আবেদনকারী ৩৮ জনের নাম প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ কারণে ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে ও নিয়োগের আরজি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ৩৮ জন। এ রিট আবেদনে ৩৮ জনকে নিয়োগ দিতে রায় দিয়েছেন আদালত।
এরআগে একই হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক তিনটি রিট আবেদনে ৩৪তম ও ৩৫তম বিসিএস-এ উত্তীর্ণ ২৭ জনকে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।