বিনা ছুটিতে প্রায় ৪ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের খান্ডোরচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ। এতে ঈদুল আযহায় বেতন বোনাস তুলতে পারেননি শিক্ষক-কর্মচারীরা। আসন্ন পুজোতেও বেতন প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে প্রধান শিক্ষক না আসায় স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে এসব বিষয় জানিয়ে কালীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে চিঠি দিয়েছেন গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম।
জানা গেছে, ১৮ আগস্টের ওই চিঠিতে বলা হয়- কোনো শিক্ষককে দায়িত্বভার অর্পণ না করেই চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল থেকে অননুমোদিতভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ। নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনে প্রধান শিক্ষকের পছন্দমতো অতি গোপনে করা কমিটি বিষয়ে অভিভাবকরা জিজ্ঞেস করলে কোনোকিছু না বলেই বিদ্যালয় ত্যাগ করে অদ্যাবধি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং অফিস সহকারীর মাধ্যমে বেতন ভাতাদির কাগজপত্র বাড়িতে নিয়ে সই স্বাক্ষর করে প্রধান শিক্ষক বেতন ভাতাদি উত্তোলন করছেন। স্টাফ কর্মচারীরা এমনটা জানিয়েছেন বলেও চিঠিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই চিঠিতে প্রধান শিক্ষকের ভারত যাওয়া, স্বামী থাকার পরও কমিটিতে বিধবা মহিলা এবং শিক্ষার্থীহীন অভিভাবক রাখার কথা উল্লেখসহ প্রধান শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে ৩ শিক্ষক প্রতিনিধি ও ২ জন অভিভাবক সদস্যের ইস্তফাদানের কথা বলা হয়েছে।
এসব বিষয়ে কালীগঞ্জের সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফরোজা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি কমিটি জটিলতার অবসান হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন। আর প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে না পাওয়ায় তাঁর মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি, গোপনে নিয়মিত কমিটি গঠন, ভারত গমনাগমনসহ বিদ্যালয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে গত ৬ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অন্য একটি চিঠি দিয়েছে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা। এ ছাড়া অভিভাবকরাও এর আগে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।