পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার মধ্য চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে গত ৪ মাস ধরে আবাসিকভাবে থাকছেন শিক্ষিকা রুমি আক্তার। তাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে স্কুলে থাকতে দেয়ায় বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে গণহারে শোকজ করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক এবং ওই বিদ্যালয়ে বসবাসকারী সহকারী শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকা গত চার মাস ধরে আবাসিকভাবে বিদ্যালয় ভবনটির চার তলায় শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। বখাটেরা নানাভাবে শিক্ষিকাকে বিরক্ত ও হয়রানি করছেন।
কারণ দর্শানো নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার মধ্য চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কাজী, প্রধান শিক্ষক মো. মোতালেব কাজী এবং সহকারী শিক্ষিকা রুমি আক্তার।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয় থেকে রুমি’র বাড়ির দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। গত মার্চ মাস থেকে চার বছর বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে সাইক্লোন শেল্টার সংযুক্ত ওই বিদ্যালয় ভবনে থাকছেন রুমি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
গত বুধবার গভীর রাতে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে নকল চাবি দিয়ে মূল গেটের তালা খুলে বিদ্যালয় ভবনে প্রবেশ করে। এরপর তারা রুমির কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় বখাটেরা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নজরে আসে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের।
এরপরই বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষিকাকে কেন স্কুল ভবনে আবাসিকভাবে বসবাস করতে দেয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে শোকজে। তাদেরকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।