কোটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ। সচিবের বক্তব্যকে অবান্তর ও অবমাননাকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন প্রতিবন্ধীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটায় সুপারিশ করার জন্য গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন প্রতিবন্ধীরা। এ সময় তাঁরা সচিবের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন। প্রতিবন্ধী কোটার ব্যাপারে আদালতের রায় আছে বলেও জানান তাঁরা।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জোবায়ের হোসেন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য অবমাননাকর, বিভ্রান্তিকর। তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র আবুল হোসেন বলেন, সচিবের বক্তব্যে হতাশ হয়ে যদি কোনো প্রতিবন্ধী আত্মহত্যা করেন, তাঁর দায় সচিবকে নিতে হবে।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র ইসহাক হোসেন বলেন, জাতিসংঘ, এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ নানা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রতিবন্ধীরা। অথচ সচিব নাকি প্রতিবন্ধী খুঁজে পান না। কোটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ ধরনের মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধনে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন। এর আগে লিখিত বক্তব্যে সচিবের ‘বিভ্রান্তিমূলক ও অসত্য’ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির আহ্বায়ক আলী হোসেন।
তিনি বলেন, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭ বিসিএসে ২০ জন প্রতিবন্ধী প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৭-৮ জন নিয়োগ পান। বাকিরা নন-ক্যাডারে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তাহলে সচিব কীভাবে বলেন, প্রতিবন্ধী খুঁজে পাওয়া যায় না। পাশের দেশ ভারতে ৪ শতাংশ কোটাব্যবস্থা চালু রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ আগস্ট সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সচিব বলেন, ‘কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো কোটা অলমোস্ট (প্রায় পুরোটাই) উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া।’ এ ছাড়া তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, তারাও (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) অনেক অগ্রসর হয়েছে।