বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) উপাচার্যপন্থি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ও কর্মকর্তা ও আন্দোলনরত কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে আন্দোলনরত কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের সময় উপাচার্যপন্থি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা মৌন মিছিল বের করলে উত্তেজনা শুরু হয়। পাল্টাপাল্টি আন্দোলনে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ, নীতিমালা প্রণয়ন ও সময় মতো পদোন্নতির দাবিতে একমাস ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। এ জন্য কর্মচারীদের ৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তাঁরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের রাসেল চত্বরে শেষ করে সেখানেই মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা। একই সময়ে উপাচার্যপন্থি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে মৌন মিছিলের চেষ্টা করলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে দু’পক্ষের সিনিয়রদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ, নীতিমালা প্রণয়ন ও সময় মতো পদোন্নতি। এসব দাবিতে এক মাস ধরে আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি বাস্তবায়ন করছেন না বলে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র রবিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও উপাচার্য-রেজিস্ট্রারসহ উর্ধ্বতন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসে না আসায় একাডেমিক, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার কার্যক্রম।
কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রেসার ক্রিয়েট করে আমাদেরকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমান কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, টানা ৩৮ দিন থেকে ৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, লাগাতার কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।