এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের নামে বেতন থেকে প্রতিমাসে ৬ শতাংশ কর্তন হচ্ছে। কিন্তু কর্তনের এ টাকা কোথায় রাখা হয় তা শিক্ষক-কর্মচারীরা জানতে পারেন না। কর্তনকৃত টাকার কোনো স্বচ্ছতা নেই। এ টাকার অবশ্যই জবাবদিহিতা বা ডকুমেন্টস থাকবে। যেমনটি সরকারি শিক্ষকদের বেলায় রয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো বিবৃতিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) এ দাবি জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের ‘মুখপাত্র’ মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং বাশিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম প্রিন্স যৌথ বিবৃতিতে শিক্ষকদের বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করে বরং ৬ শতাংশ কর্তনের হিসাব দেয়ার দাবি জানান।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ না হলে আগামী ১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে বৃহত্তর এবং কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বাশিস।
বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী মামুন আল জাকীর, অতিরিক্ত মহাসচিব কামরুল খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো. আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব মো. মঈনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যক্ষ মুস্তফা জামান রানা, সহ-সভাপতি ড. ফারহানা খানম, লিয়াজোঁ ফোরামের উপদেষ্টা মো. ফিরুজ মিয়া, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আমিন শেখর, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. আমির হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত কুমার ভট্টাচার্য্য এবং মো. হুমায়ুন কবীর, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেনসহ প্রমুখ।