৬ নম্বর সন্তান পেটে খাকা এক জননী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের ঘিলাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার আগে আয়েশা খাতুন (৩০) চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। তার স্বামী একটি মাদরাসার শিক্ষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ৫ সন্তানের জননী এবং ৪ মাসের গর্ভবতী আয়েশা খাতুন নিজের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় এমন একটি চিরকুট লিখে রেখে বাড়ির বাথরুমে রশি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। আয়েশা খাতুনের ৫ বাচ্চার মধ্যে বড় সন্তানের বয়স ১২ বছর, কোলের বাচ্চার বয়স ৫ মাস এবং গর্ভের সন্তানের বয়স ৪ মাস। তার মরদেহ টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার ওসি তদন্ত মো. চাঁদ মিয়া জানান খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে, ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ পাঠানো হবে।
চিরকুটে লেখা ছিল- প্রিয়, মা, বাবা, ভাই, বোন আমার পাঁচটা ছোট ছোট বাচ্চার রান্না, ধোয়া গোছানো, খাওয়ানো, পড়ানো তার পাশাপাশি অনেক টাকা ঋণের টেনশনে আমি আধা-মরা, তার মধ্যে দিয়ে আবার ৬ নাম্বার বাচ্চার টেনশনে আমি আত্মহত্যা বেছে নিলাম। এর জন্য দায়ী কেহ নয়। সবার কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ হাফেজ।