ভাঙ্গুড়া উপজেলায় জনপ্রিয় এক ক্রীড়া শিক্ষক আলহাজ মো. আজিজুর রহমান। তিনি সবার কাছে গেম স্যার হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ ৫১ বছর ধরে তিনি শিশুদের পাঠদানের পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কাজ শিখিয়ে আসছেন।
১৯৬৫ হতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি সিরাজগঞ্জ জ্ঞানোদাইনী হাইস্কুল এবং ১৯৭১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন হাই স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ভাঙ্গুড়া বড়াল কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তার বয়স ৭৫ বছর। বয়সের কাছে হার মানেননি তিনি। যৌবনে যেভাবে শিশুদের ক্রীড়া নৈপুণ্যের অধিকারী করে গড়ে তুলেছেন আজও যেন তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি ক্রিকেট, কাবাডি, ফুটবল, হা-ডু-ডু, স্কাউটিং প্রভৃতির প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। এজন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক ও সফল ক্রীড়া শিক্ষকের সম্মাননা লাভ করেন। তার ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তিনি শিশুদের সঙ্গে মিশে যান বন্ধুর মতো।
আজিজুর রহমান জানান, ছাত্ররা তার সন্তানের মতো। তিনি মন দিয়ে তাদের গড়ার চেষ্টা করছেন। তার অসংখ্য ছাত্র রয়েছে যাদের জন্য তিনি গর্ব বোধ করেন। এদের মধ্যে তিনি এডিশনাল সেক্রেটারি মো. ফরহাদ হোসেন, নাট্য ব্যক্তিত্ব জাহিদ হাসান ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ইজ্জত আলীর নাম উল্লেখ করেন। তিনি আজীবন সুস্থ ও সুন্দর মনের মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করে যাবারও ইচ্ছা পোষণ করেন।
অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, আদর্শ, বিনয়ী ও চির তরুণ আজিজুর রহমান স্যার নিজ গুণে অগণিত শিক্ষার্থীর অন্তরে জায়গা করে রেখেছেন।
বড়াল কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, আজিজুর রহমান একজন আদর্শ শিক্ষকের মডেল ও দৃঢ় মনোবল সম্পন্ন মানুষ।