এইচএসসি ও সমমানের পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল শনিবার নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ড তাদের ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করে। তবে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১০ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড বাদে ৯টি বোর্ড তাদের ফল প্রকাশ করতে সক্ষম হয়। ৯ বোর্ডে তিন হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ ৫ পাওয়ার পাশাপাশি ফেল থেকে পাসও করেছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। তবে বেশির ভাগেরই গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সবচেয়ে বেশি ফল পরিবর্তন হয়েছে ঢাকা বোর্ডে। এ বোর্ডে মোট এক হাজার ৮৮৮ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। যার মধ্যে ফেল করে পাস করেছে ৫৪০ জন। আর নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬৪ জন। এই বোর্ডে ফল পরিবর্তনের জন্য ৪৬ হাজার ৩৭০ জন পরীক্ষার্থী এক লাখ ৩৪ হাজার ১০২টি পত্র পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করে।
গতকাল সকালে সবার আগে পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় ৭২ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ১৯ জন, নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে সাত শিক্ষার্থী। অন্যদের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
চট্টগ্রাম বোর্ডে ৪০৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০৮ জন, ফেল থেকে পাস করেছে ৭৩ জন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট ৩৬২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ২৪ জন, নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬২ জন। সিলেট বোর্ডে মোট ৫৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ১৭ জন, নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ জন। কুমিল্লা বোর্ডে মোট ২৩৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৬৪ জন এবং নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে সাতজন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে মোট ১৮ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে দুজন, ফেল থেকে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। যশোর বোর্ডে মোট ১০৮ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৪১ জন, নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১ জন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট ৩৮৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করে ৩৮০ জন। আর গ্রেড পরিবর্তন হয় চারজন শিক্ষার্থীর। এই বোর্ডে ২৮ বিষয়ের আট হাজার ৯২৮টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষা করা হয় বলে বোর্ড সূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, পুনর্নিরীক্ষায় মোট চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো—উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) শিটে ওঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কি না। তবে পুনর্নিরীক্ষায় নতুন করে কোনো খাতা দেখা হয় না।