৯০ শতাংশ স্কুল ও খেলোর মাঠের বাইরে বিক্রি হয় সিগারেট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনেই বিক্রি হচ্ছে সিগারেট।এমন তথ্য উঠে এসেছে ‘বিগ টোব্যাকো টাইনি টার্গেট’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ প্রতিবেদনের ওপর আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ স্কুল ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বা সিগারেট বিক্রির দোকান পাওয়া গেছে। ৮১ দশমিক ৮৭ শতাংশ দোকানে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন শিশুদের দৃষ্টির ১ মিটারের মধ্যে দেখা যায়। চকোলেট এবং খেলনার পাশে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে দেখা যায় ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ দোকানে। স্কুল ও খেলার মাঠের পাশে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রির দোকানগুলোতে ৮২ দশমিক ১৭ শতাংশ তামাকের বিজ্ঞাপন দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. সৈয়দ গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইনের ৫ ধারা বলা হয়, ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বা ক্রয় করতে পারবে না।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গত বছর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, স্কুল-কলেজের আশপাশে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো দোকানে বিড়ি-সিগারেট কিংবা অন্য কোনো তামাকপণ্য বিক্রি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু এক বছরেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তামাক বিষয়ে বৈশ্বিক প্রকাশনা ‘দ্য টোব্যাকো অ্যাটলাস ২০১৮’এর তথ্য অনুযায়ী, তামাকের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করছে।