বাজেটে উন্নয়নের দর্শন ও প্রতিফলন কিছুটা হলেও থাকতে হবে। উন্নয়নটা ধরে রাখতে হলে শিক্ষায় নজর দিতে হবে। আমরা প্রায় ১০ বছর ধরে নানা রকম দেনদরবার করে আসছি। শিক্ষার ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, অগ্রাধিকারের কিছু পরিবর্তন, বাজেট ঠিকমতো ব্যবহার ইত্যাদি। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা বিশেষ কোনো ফল পাইনি। মোটামুটি একই ধারায় তা চলে আসছে। বাজেট প্রবৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু আনুপাতিক হারে বাড়েনি। কিছু অগ্রাধিকার কৌশল, নীতির পরিবর্তন দরকার, সেটার ব্যাপারেও বিশেষ কিছু আমরা দেখিনি। আজ রোববার (২৬ মে) কালের কণ্ঠে প্রকাশিত নিবন্ধনে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষার সংস্কার হয় না। সেই সংস্কারের পরিকল্পনা আসতে হবে শিক্ষার কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষায় যাঁরা কাজ করেন তাঁদের মাধ্যমে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়গুলো থেকে নতুন চিন্তা যা দরকার, তা আসছে না। তাই আমরা একই চক্রের মধ্যে থেকে যাচ্ছি। এসডিজি-৪-এ আমরা বলছি প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষা মানসম্মত ও সর্বজনীন হবে। কিন্তু আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা সর্বজনীন করার একটা পরিকল্পনা আছে। এরপর আর কোনো পরিকল্পনাই নেই। আমরা ২০২০ অথবা ২০৩০ সালের মধ্যে কোথায় যাব সে পরিকল্পনা আমাদের নেই।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রসার হলেও মানের ব্যাপারে অনেক সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। মান, দক্ষতা, যোগ্যতা—এগুলো ধরে রাখতে না পারলে আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন হবে না। বাজেট দিয়ে শিক্ষার সংস্কার আশা করা না গেলেও একটি দিকনির্দেশনা থাকতে পারে। অন্তত এই বাজেটে এক দশকের শিক্ষা উন্নয়নের পরিকল্পনার সূচনা ঘোষিত হোক—এটা আমাদের চাওয়া। ২০১০ সালে শিক্ষানীতি প্রণয়ন হয়েছিল, কিন্তু সেটা বাস্তবায়নের জন্য কোনো কর্মপরিকল্পনা হয়নি।