পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার শিংরোড রতনী বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘গোপনে’ কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুলের সভাপতি মো. ফারুখ হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম টাকা বিনিময়ে গোপনে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। এদিকে এ নিয়োগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে না জানিয়ে নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নের অভিযোগও উঠেছে এক সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাই, ওই কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীন আকতার।
জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনেকটা গোপনেই নিয়োগ বোর্ড করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়োগের আগে যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার কাজও গোপনে করা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে ম্যানেজিং কমিটির অনেক সদস্যই জানেননা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. ফারুখ হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম মোটা টাকার বিনিময়ে ওই নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি টাকার বিনিময়ে রাতের অন্ধকারে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীন আকতার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তিনি এই নিয়োগের বিষয়ে কিছুই জানেননা। ডিজি'র প্রতিনিধি মনোনয়নের কাগজও তিনি প্রদান করেননি। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, তার একদিন ছুটিতে থাকা অবস্থায় সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার রায় সিংহ তাকে না জানিয়ে ডিজি'র প্রতিনিধি মনোনয়নের কাগজ দিয়েছেন। এজন্য তিনি সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন।