ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন যুগ্ম কমিশনারকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ আখ্যায়িত করে তাকে বদলি করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার। সহকর্মী মো. ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তবে চিঠিটি পুলিশ সদর দপ্তরে এখনও পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা। শনিবার (৬ জুন) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, চিঠিতে শফিকুল ইসলাম লিখেছেন, “ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেন একজন দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা।
“ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের নিকট ‘পার্সেন্টেজ’ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে উক্ত কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।”
চিঠিতে ইমাম হোসেনকে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ ডিএমপি থেকে বদলির সুপারিশ করেছেন শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগের বিষয়ে ইমাম হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তা ধরেননি তিনি। মেসেজ দিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে যোগ দেন ইমাম হোসেন। পরবর্তী সময়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার (অর্থ) ও উপ-কমিশনার (লজিস্টিকস) পদে দায়িত্ব পালন করেন।
পদোন্নতি পয়ে যুগ্ম কমিশনার হিসেবে লজিস্টিকস বিভাগে কর্মরত আছেন তিনি।
চিঠির বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা শুক্রবার রাতে বলেন, “যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বা শোনা যাচ্ছে, তেমন কিছু পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এখনও পৌঁছায়নি।”
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রশাসনিক বিষয় থাকে এবং এগুলোর ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশাসনিক ও পেশাদারি ব্যবস্থা নেয়া হয়।”
এদিকে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এভাবে চিঠি দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। আমি হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতাম। এভাবে কেন চিঠি দেয়া হলো?”
এ বিষয়ে কথা বলতে পুলিশ কমিশনারের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।