‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ সংশোধন করুন - দৈনিকশিক্ষা

‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ সংশোধন করুন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনটিআরসিএ কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে দ্বিতীয় চক্রে ৩৯৩১৭ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করেন। আবার ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে একটি নোটিশে জানান ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকায় ছয় মাস মেয়াদি কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবন্ধনধারীরা যোগদান করতে পারবেন না। যদিও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারির আগে পাশ করাদের বাদ দেওয়ার কথা নয়। বিভিন্ন নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার অনুযায়ী তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যথাযথ ছিল। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে আরও জানা যায়, উল্লেখ্য, ১ম থেকে ১২তম সহকারী শিক্ষক আইসিটি পদের জন্য যোগ্য, তিন বছর মেয়াদি কম্পিউটার ডিপ্লোমা অথবা যে কোনো বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিসহ সরকার অনুমোদিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রভাষক আইসিটি ও কম্পিউটার অপারেশন পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল কম্পিউটার/আইসিটি-তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অথবা বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান, প্রাণীবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান) দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ সরকার অনুমোদিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কিন্তু ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’-তে শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বলা হয়েছে।

এনটিআরসিএ কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগের আগে অর্থাৎ ১ম থেকে ১২তম একই নিবন্ধন পাশ করে অনেকে চাকরি করছে। এনটিআরসিএ-এর কাছে নিয়োগ ক্ষমতা যাওয়ার পর ১৩তম ও ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যোগ্যতা অনুযায়ী এই নিবন্ধন পরীক্ষা পাশ করলেও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮-র কারণে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের আগেই অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন আইসিটি শিক্ষকগণ। আরো অবাক করার বিষয়, নীতিমালা প্রকাশের কয়েক মাস পর ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ১৪তমের ফলাফল প্রকাশ পায় এবং জাতীয় মেরিট লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে। যদি আবেদনই করা না যায়, তাহলে ১৪তম প্রভাষক, আইসিটি বিষয়ে পাস করানো হলো কেন?

১৩তম ও ১৪তম বিজ্ঞপ্তির ১৩ (ক, ঘ)-তে বলা ছিল লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি বিষয়ে বিদ্যমান শূন্য পদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্তৃপক্ষ উপজেলা, জেলা ও জাতীয় মেধায় নিয়োগ দেবেন। এদিকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও এসব প্রার্থী চাকরিতে যোগদান করতে না পারায় হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছেন। তাই শিক্ষা সচিব, মহাপরিচালক ও এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ এই যে, বিষয়টি বিবেচনা করে ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ সংশোধন করে তাঁদের নিয়োগ দিন।

লেখক : মো. সাইফুর রহমান, সহকারী শিক্ষক, গণিত, রাসুলপুর দাখিল মাদরাসা, বাহুবল, হবিগঞ্জ।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048348903656006