চাঁদা দাবির কারণে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস হিসেবেও থাকতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ‘সারাদেশে ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের সম্পৃক্ততায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি’র ঘটনায় প্রগতিশীল ছাত্রজোট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নোবেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলা অবস্থায় টাকা ভাগাভাগির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রকাশ পায়। একই সঙ্গে জাবি ভিসি ও ছাত্রলীগ নেতাদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
‘একই সঙ্গে দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই, দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে নিজ সংগঠন থেকে অব্যাহতি পাওয়া কোনো ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের তথা ডাকসুর কোনো পদে থাকতে পারে না। বর্তমান বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে ডাকসুর অতীত ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য অবিলম্বে এই ডাকসু অবৈধ ঘোষণা করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।