দুর্দান্ত সিম পজিশন, গতি এবং সুইং দিয়ে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা পেসার হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ শামি। করোনার কারণে ঘরবন্দি পশ্চিমবঙ্গের এই অবাঙালি পেসার। কিন্তু কাজ থেমে নেই তার। নিজেদের ফিট রাখার চ্যালেঞ্জটা পেসারদের বেশি। শামি তাই ফিটনেস ও বোলিংয়ের নানা কৌশল নিয়ে কাজ করছেন। এছাড়া করোনা পরবর্তী ক্রিকেটের সম্ভাব্য পরিবর্তনের আভাস নিয়েও আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
মোহাম্মদ শামি ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আগের মতোই অনুশীলন করছি। ফিট থাকতে নিজস্ব জিমনেশিয়াম আগেই করেছিলাম। সেটা এখন খুবই কাজে দিচ্ছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা কাজ করি বাড়িতে। এছাড়া ব্যাট নিয়ে নকিং করছি। ক্যাচও প্র্যাকটিস করছি।’
কিন্তু পেসার হিসেবে সব অনুশীলন করতে পারছেন না বলেও জানান শামি, ‘এটা কঠিন এক পরিস্থিতি। শুধু পেসার বলে তো নয়, সকলেই খুব অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতে বসে তো আর দৌড়ে এসে নেট প্যাকটিস সম্ভব না। স্কিল নিয়ে কাজ করা সম্ভব না। কিন্তু কিছু করারও তো নেই।’
পেসারদের অভ্যাসই হয়ে গেছে বল করার পূর্বে থুতু লাগিয়ে বল ঘষা। অধিনায়কসহ অন্যরাও এটা করে থাকেন। কিন্তু মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনা ক্রিকেট থেকে এই অভ্যাস বাদ দেয়ার প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। এ নিয়ে শামি বলেন, ‘এটা কিন্তু ভেবে দেখার মতোই বিষয়। আমার মনে হয়, করোনা অনেক কিছুই পাল্টে দিয়ে যাবে। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলেও হয়তো আমরা কিছু অভ্যাস চালিয়ে যেতে ভয় পাবো। হয়তো সেগুলো বাদই যাবে। যেমন বলে থুতু লাগানোর বিষয়টি বিপজ্জনক বলেই ধরা হবে, তাই কেউ ঝুঁকি নেবে না। বহু দিনের একটা অভ্যেস হয়তো আমাদের ছাড়তে হবে।’