বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শেখানোর ওপর জোর দিতে হবে। শিক্ষকদেরকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ধারক হয়ে শিক্ষার্থীদের জাগ্রত করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের খুব ভালো ও দক্ষ নেতৃত্ব রয়েছে। আর সেই নেতৃত্ব হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মানসম্মত শিক্ষকতা ও শিক্ষা’ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের সামনে কিছু লক্ষ্য রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ, উন্নত দেশ ও স্বাধীনতার শতবার্ষিকী উদযাপন। ডিজিটাল বাংলাদেশে পৃথিবীর সঙ্গে তালমিলিয়েই আমরা আছি। গবেষণা, প্রযুক্তি, বুদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের অনন্য চাবি। আপনি যদি চীন, জার্মানি, রাশিয়া দেখেন, দেখবেন তারা নিজ ভাষায় প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে। বিজয়ের মাসে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে বড় ভূমিকা রাখবো।
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও ভালো ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু যে ভূমিকা রাখতে সারাজীবন পরিশ্রম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম বিজয় দিবসে (১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেন। কোনো ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ফার্স্ট ক্লাস ছিল না বাংলাদেশে। এখন সবাই ফার্স্ট ক্লাস। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই প্রথম উপলব্ধি করেন যে, মেধাবীদের সমাজে স্থান করে দিতে হবে। তা নাহলে বাংলাদেশের বিপ্লব হবে না, আধুনিক বাংলাদেশ হবে না।’
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, যাতে করে দেশে পারফর্মেন্স বেসড সোসাইটি তৈরি হয়। আমাদের সন্তানদের মূল্যবোধের শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। আমাদেরকে গবেষণা করবে হবে। যেন সেটি আমরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কাজে লাগাতে পারি। স্থানীয় সমস্যাগুলোও আমাদের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই আমরা সমাধান করতে চেষ্টা করবো। তবে এমন কিছু করবো না, যেটি আমাদের কোনো উপকারে আসবে না।
রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মানিন্দ্রা কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান রাজীব প্রসাদ সাহা প্রমুখ।