ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে জারি করা অধ্যদেশটি আইন হিসেবে জারি করতে সংসদে যে বিল তোলা হয়েছে। তা চূড়ান্ত করার আগে বিশেষজ্ঞ মত নেবে সংসদীয় কমিটি। বুধবার (২৪ জুন) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিটির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “আগামী ২৮ জুন সংসদীয় কমিটি আবারও বসবে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। আমি একজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রাখারও প্রস্তাব দিয়েছি। যাতে বিষয়গুলো সহজে ব্যাখ্যা করা যায়।”
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য জানান,সংসদীয় কমিটি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম,জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর মতামত নেওয়ার জন্য পরবর্তী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু বলেন, “বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে কমিটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করবে। ২৯ তারিখ আমরা সংসদে প্রতিবেদন দিতে পারবো বলে আশা করছি।”
মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল- ২০২০’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি ৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়ার পর তার ভিত্তিতে ভার্চুয়াল আদালতের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির পর তা সংসদে তোলা হয় গত ১০ জুন। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে হলে চলমান অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করাতে হবে। না হলে ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা হারাবে।
সংসদে উত্থাপিত বিলে ভার্চুয়াল উপস্থিতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “অডিও-ভিডিও বা অনুরূপ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির আদালতে বিচার বিভাগীয় কার্যধারায় উপস্থিত থাকা ও অংশগ্রহণ।”
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে অংশ নেন কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ খান, শহীদুজ্জামান সরকার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।