মহিলা কোটার জটিলতায় এমপিও বঞ্চিতরা যোগদানের তারিখ থেকে এরিয়াসহ পাবেন বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে দেয় একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা তিনি। এসময় মহিলা কোটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান।
মহিলা কোটার এমপিও জটিলতা নিয়ে দৈনিক শিক্ষার ফেসবুক লাইভে অনেক পাঠক অনেক প্রশ্ন করেছেন গত কয়েকদিনে। পাঠকদের প্রশ্নমালা নিয়ে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার সাংবাদিকরা। এসময় মহিলা কোটা নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে খোলামেলা কথা বলেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এমপিওভুক্ত হতে শিক্ষকদের দেরি হয়। তাই এমনটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘মহিলা কোটার জটিলতায় ভুক্তভোগীরা বকেয়া বা এরিয়ার দিলে সরকার তো ন্যায্য বিচার করবে। কারণ তিনিতো ক্লাস নিচ্ছেন। এমনতো নয় যে এমপিও পেলেন না তাই তিনি ঘরে বসেন আছেন। তিনি তো পড়াচ্ছেন।’
এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মহিলা কোটায় ভুক্তভোগীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান বলেন, মহিলা কোটা পূরণ না থাকায় এমপিও জটিলতা হচ্ছে এ রকমটাও না। দুর্গম এলাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে মহিলা কোটা পূরণ করা লাগবে না, যা বিধিতে বলা রয়েছে। ১২ বা ১৩ টি উপজেলার জন্য মহিলা কোটা শিথিল। ওই উপজেলাগুলোতে কোন মহিলা যেতে চান না। ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কিন্তু জটিলতা নেই। গত শিক্ষক নিয়োগে আমরা মহিলা কোটার প্রায় ৪ হাজার পদে কোন আবেদন পাইনি। কোন মহিলা ওইসব পদে আবেদন করেনি। মহিলা কোটা নিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ স্টেপ ইন করলো। তা থেকে বোঝা যায় কারিগরি ও মাদারাসার সমস্যার সমাধান অতিদ্রুত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আদেশ না হওয়ায় স্কুল কলেজের মহিলা কোটা নিয়ে জটিলতা কাটেনি।
এনটিআরসেএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন দৈনিক শিক্ষাকে আরও বলেন, অনেক উপজেলায় স্তরভিত্তিক হিসেব হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অর্থাৎ একই ইআইআইএনের প্রতিষ্ঠান বিবেচনায় মহিলা কোটা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনজন মহাপরিচালককে নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন এক প্রতিষ্ঠানের দুটি ইআইআইএন হতে পারে না।
এদিকে, ১৫তম নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা প্রার্থীদের মনে একটিই প্রশ্ন চূড়ান্ত ফল কবে প্রকাশ করা হবে। দৈনিক শিক্ষাডটকমে ইমেইল, টেলিফোন করে এবং নিয়মিত ফেসবুক লাইভে এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন প্রার্থীরা। ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল সম্পর্কে দৈনিক শিক্ষাডটকমের সাথে কথা বলেছেন চেয়ারম্যান। এ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও প্রতিবেদন দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি দেখতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।