মেয়েশিশুদের সুশিক্ষা লাভের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে সমাজে ‘বিপর্যয়’ নেমে আসবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব নেতারা। আর তাই মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে আরো বেশি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া ফ্রান্স, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য বিশ্বের দেশগুলোকে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানায়।
সম্মেলনের ফাঁকে নেতারা বলেন, মেয়েরা শিক্ষিত না হলে একটি জাতি তার উৎপাদন ক্ষমতা হারাবে এবং দেশে যুদ্ধ ও অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়বে।
বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে ১৩ কোটির বেশি মেয়েশিশু বিশেষত, সংঘর্ষ-বিক্ষুব্ধ এবং গরিব অঞ্চলগুলোর বহু মেয়েই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না। যে কারণে প্রতি বছর ৩০ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার আয় এবং উৎপাদন থেকে বিশ্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুশিক্ষার অভাবে মেয়েশিশুরা বাল্যবিবাহ, ভঙ্গুর স্বাস্থ্য, অপ্রাপ্ত বয়সে মাতৃত্ব, কর্মহীনতা ও দারিদ্র্য জর্জরিত হচ্ছে এবং বিশ্বকে এর মূল্য দিতে হচ্ছে।
নারী শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, “এটি বিনিয়োগ। যদি আমরা এটি না করি তবে আমাদের বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”
সুশিক্ষার মধ্যে অবশ্যই সংস্কৃতি ও সামাজিক শিক্ষাও থাকতে হবে। যাতে সমাজ থেকে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে অন্যান্য দেশগুলোকে মেয়েশিশুদের জন্য অন্তত ১২ বছর বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা কারার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “মেয়েশিশুদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করলে তা শুধু সঠিক কাজই হবে না বরং এটি বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার পথে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এ উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে সংঘাত হ্রাস করে স্থিতিশীল উন্নয়ন আনবে।”