জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এ মামুন বলেছেন, ‘র্যাগিং করার অভিযোগে যারা অভিযুক্ত হবে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এটা সকলকেই মনে রাখতে হবে, যে কোনো র্যাগিং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
সোমবার (৯ মার্চ) সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বিরোধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশ ভাস্কর্যের চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে কোনো র্যাগিং হতে দেবো না। র্যাগিং বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে। তিনি ক্যাম্পাসকে র্যাগমুক্ত রাখার সুদৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, যে কোনো অমর্যাদাকর ও অসম্মানজনক আচরণ র্যাগিং হিসেবে বিবেচিত হবে। কাজেই সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, সবাইকে সচেতন করার নিমিত্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে র্যাগিং ও তার শাস্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। র্যাগিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধিকে সকলে ঘৃণা করুন এবং র্যাগিংকে ‘না’ বলুন।
শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, র্যাগিং একটি ভয়াবহ বিষয়। র্যাগিংয়ের কারণে কারো লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর।