‘লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ’ স্কুলটির বিক্রির কার্যক্রম স্থগিত - দৈনিকশিক্ষা

‘লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ’ স্কুলটির বিক্রির কার্যক্রম স্থগিত

দিনাজপুর প্রতিনিধি |

‘সভাপতি সেজে স্কুল বিক্রি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছো দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ায় ১৮ ঘণ্টার মধ্যে পার্বতীপুরে আলোচিত ‘লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ’ নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি স্থাপনা ও অবকাঠামো হস্তান্তরের (বিক্রি) যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইচ এম খোদাদদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্রেতা কামরুল হুদা বাদশা ও বিক্রেতা বিমল রায়কে (সভাপতি,লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ) বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। একই পত্রে সাব রেজিস্টার,পার্বতীপুর কে দলিল রেজিস্ট্রি না করার জন্য অবহিত করা হয়েছে।
লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহানাজ মিথুন মুন্নী নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, পার্বতীপুর শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দুরে পার্বতীপুর-দিনাজপুর সড়কের সন্নিকটে ২নং মন্মথপুর ইউনিয়নের রাজাবাসর মৌজায় ৪৫ শতক জমির উপর লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ নামে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। 
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে বিদেশি দাতা সংস্থার অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মরিয়ম সরেনের নামে জমি ক্রয় করে অত্যাধুনিক এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়। সেসময় বিমল রায় লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরিচালক বিমল রায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মতামতের তোয়াক্কা না করে নিজ খেয়াল খুশিমতো স্বুল পরিচালনা ও অর্থ ব্যয় করতে থাকায় একসময় বিদেশি দাতা সংস্থা মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এ সুযোগে বিমল রায় ব্যক্তিগত লাভের আশায় কারো সাথে কোন পরামর্শ না করে গত বছরের নভেম্বরে স্কুলটি বন্ধ ঘোষনা করে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হতো স্কুলটিতে। হঠাৎ করে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই বিপাকে পড়ে যায়।

তৎকালিন পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান ১১ জুন লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ পক্ষে সভাপতি বিমল রায়ের নামে স্কুলের জমি খারিজ (নামজারি) করে দেয়। ওই সময়ের পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বর্তমানে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান দাবি করেন- তিনি প্রতিষ্ঠানের নামে খারিজ দিয়েছেন, কোনো ব্যক্তির নামে খারিজ দেননি। এখানে সভাপতি কে সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। তবে বিক্রির সময় দেখতে হবে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সভাপতি কি না।
আইনগত বিজ্ঞপ্তি

এদিকে বিমল রায় স্কুলের সভাপতি হিসেবে খারিজ পেয়ে গত ২৯ জুলাই জনৈক কামরুল হুদা বাদশার নিকট স্কুলটি (স্থাপনা, অবকাঠামোসহ ৪৫ শতক জমি) বিক্রি করার জন্য বায়নানামা রেজিস্ট্রি করে দেয়। বায়নানামা রেজিস্ট্রি হওয়ার পর পরই কামরুল হুদা বাদশা’র আইনজীবী অ্যাডভোকেট হয়রত আলী (বেলাল) জমির দাবিদার যদি কেহ থাকে তাদের আপত্তি জানানোর জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়ে স্কুলের পাশের সড়কে আইনগত বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
লিভিংস্টোন স্কুল বাংলাদেশ-এর একশ গজের মধ্যে বিদেশি মিশনারিদের পরিচালিত ১১৫ শয্যার অত্যাধুনিক ল্যাম্ব হাসপাতাল রয়েছে। ল্যাম্ব হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ‘ও লেভেল’ ইংলিশ মিডিয়াম একটি স্কুল রয়েছে। বিমল রায় এক সময় ল্যাম্ব হাসপাতাল কম্পাউন্ডে স্থাপিত ‘ও লেভেল’ স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ল্যাম্ব হাসপাতালে বিদেশিদের আনাগোনা সবসময় ছিল। 

বিভিন্ন দাতা সংস্থার লোকজনও আসতো। বিমল রায়ের সঙ্গে কয়েকটি বিদেশি দাতা সংস্থার লোকজনের গভীর সখ্যতা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে সেইসব বিদেশি ডোনারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্কুল প্রতিষ্ঠায় অর্থ সাহায্য দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। সে সময় স্কুল প্রতিষ্ঠায় ল্যাম হাসপাতালে কর্মরত অস্ট্রেলিয়ান এক দম্পতি সার্বিক সহযোগিতা করেন।

বিদেশি অর্থে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ জড়িত থাকায় কোনো ব্যক্তি তা বিক্রি করে দিতে পারেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি স্থাপনা ও অবকাঠামো রক্ষার জন্য মন্মথপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মাহাবুবার রহমান পার্বতীপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে গত ১৯ আগস্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063071250915527