শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে খোঁজ রাখেন। ফলে দেশে শিক্ষার মান বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার মান উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ শিবচর উপজেলা সমিতির বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শিবচর উপজেলার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে সাক্ষরতার হার শতকরা ২২ ভাগ বেড়েছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল প্রায় ৬৫ ভাগ। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছিল শতকরা ৫২ ভাগে। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে এখন পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৭৪ ভাগ।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, যে দেশের মানুষ এক সময় খেতে-পরতে পারতো না, মাথার ওপর কোনো ঠাঁই ছিল না, সেই দেশ এখন সফটওয়্যার রপ্তানির সক্ষমতা রাখে।
ঢাকাস্থ শিবচর উপজেলা সমিতির সভাপতি আবদুস সামাদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি এখন আর তদবিরে হবে না। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য এখন ইন্টারনেটে পাওয়া যায় যায়। কোন প্রতিষ্ঠানের কোন যোগ্যতা রয়েছে, তা এখন আর অজানা থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ এখন শিক্ষার প্রসারে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
অনুষ্ঠানে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত ১২২ জনকে সংবর্ধনা ও বৃত্তি এবং ৮০ জনকে উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়াজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্যা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান, সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস.এম লোকমান হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. সেলিম আকন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউসুফ মুরাদ খান পারভেজ ও তুহিন রেজা।