গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রাকের চাপায় এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে হত্যাকারীদের বিচারসহ ৬ দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও দুটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা এ সময় তারা মহাসড়কেও বিক্ষোভ করেছে। কলেজ দুটির শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
গত বৃহস্পতিবার মহাসড়কে ট্রাক চাপায় নিহত হন কালিয়াকৈর উপজেলার সাহেবাবাদ এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম রতন (১৮)।
‘কলেজছাত্র হত্যাকারীদের বিচারসহ’ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার লতিফপুর এলাকায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী, কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নিহতের হত্যাকারীদের বিচার, তার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, নিরাপদ সড়ক চাই, সর্বস্তরে ট্রাফিক আইন মানতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ফিরে যাও বাড়ি, মোটর সাইকেল চলার আলাদা লেনের দাবি জানান। এ সময় তারা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহব্বায়ক আশিক মাহমুদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মন্ডল, কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মৃদুল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেন, সহ-সভাপতি অমিত হাসান প্রমুখ।
নিহতের পরিবার জানায়, আশরাফুল ও তার বন্ধু শুভ মনি দাস গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ শেষে মোটরসাইকেলে করে উপজেলার সফিপুরের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় পৌছলে পিছন থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দেয়। এতে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কের উপর পড়ে গেলে ওই ট্রাকটি তাদের চাপা দেয়। ট্রাকর চাপায় আশরাফুল ঘটনাস্থলে মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মনিদাসকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ট্রাক আটক করলেও চালক ও সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে নিহতের লাশ ওইদিনই সাহেবাবাদ এলাকায় তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।