জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ঘোষণা শুনতে চান তৃতীয় ধাপে বাদপড়া অনশনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির কথায়, আশ্বাসে তাদের বিশ্বাস নেই। তাই তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
মঙ্গলবার (৩০শে জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনরত প্রাথমিকের শিক্ষকদের অনশনে ভেঙ্গে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহবান জানালে এসময় শিক্ষকেরা না না বলে সচিবের আশ্বাস নাকচ করে দেন। অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির অনশনরত শিক্ষকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের লক্ষ্যে কাজ করছে। আপনাদের দাবি মেনে নেয়া হবে। কিন্তু আমাদের সময় দিতে হবে।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কোনো আশ্বাসে আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না। সরকার কৌশলে আমাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে উঠিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে।
তিনি আর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু তাদের বিদ্যালয়গুলো সব শর্ত পূরণ করেও জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি শাহজাহান আলী (সাজু) বলেন, ‘জাতীয়করণ বঞ্চিত সারাদেশে এরকম কতটি স্কুল রয়েছে এটা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয়করণের ঘোষণার তালিকা থেকে আমলারা কৌশলে তাদের বাদ দিয়েছিলেন। এ জন্য তারা বঞ্চিত হন।’ তিনি বলেন, ‘তাদের কর্মসূচিতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যোগ দিয়েছেন।