রাষ্ট্র গেজেটের মাধ্যমে অফিস আদালত বন্ধ করেছে, কঠোর লকডাউন দিয়েছে, অথচ ব্যক্তিগত অফিস খোলা রেখে অসহায় কর্মচারীকে রাস্তায় নামাচ্ছে? কার বুকের পাটা এতো বড়? যখন সাংবাদিক ইন্টারভিউ করেন এবং পুলিশি জিজ্ঞাসায় তথ্য বেড়িয়ে আসে, তখনই কেন ঐ আইন অমান্যকারীর অফিস খুঁজে তাকে আইনের আওতায় আনা হয় না। আর কতদিন ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলবে। এরপর তো কপাট বন্ধ দিলেও কাজে আসবে না।
সংক্রামক ব্যাধি আইনে মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অথচ সিভিল সার্জনরা দায়িত্ব পাচ্ছেন না। কার এতো অমানবিক সাহস যে, মহামারীকালে সম্মুখযোদ্ধাদের সরিয়ে জাতিকে বিপদে ফেলে দিতে চায়। চিকিৎসাতো চিঠি চালাচালি না। চিকিৎসাতো লাল ফিতায় বেঁধে রাখার জিনিস না। এটাতো বিচার বিভাগের রায়কে প্রলম্বিত করা নয়। এটাতো জীবন মৃত্যুর বিষয়। এখানে ঔদ্ধত্য দেখানোর সুযোগ নেই। কতটা অমানবিক হলে এই কঠিন সময়ে ১০ হাজার ২৫১ জন চিকিৎসককে একসঙ্গে বদলী করা যায়! এটা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অচল করে দেয়ার নীল নকশা। এই ধরনের আদেশ/নির্দেশ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা ছাড়া কিছুই নয়।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাতো আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর মাঝে অবস্থান করছেন না। পরম মমতায় একজনের নাকে অক্সিজেনের পাইপ দিচ্ছেন না। তাহলে, ভয়াবহতার চিত্রটি নিশ্চয়ই প্রশাসন বুঝবে না। করুণ অভিজ্ঞতার ছবি আর হৃদয়স্পর্শী কান্নার আওয়াজতো চিকিৎসা কর্মীদের কাছেই বেশি পাওয়ার কথা। সমগ্র প্রশাসন গুলিয়ে খাওয়ালেও কি রোগীর দাওয়া হিসেবে কাজ করবে? করবে না। তাহলে, কথা বলুন, চিকিৎসকের সঙ্গে।
যার যে কাজ তাকে দিয়েই সেটা করাতে হবে। জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক আর প্রকৌশলীদের ক্ষমতায়ন করতে পারলে আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করা সম্ভব। সময় ও ধরণ বুঝে দেখেশুনে কমান্ডার নিয়োগ করতে হবে, যুদ্ধের কৌশল ঠিক করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রতি অগাধ আস্থার ওপর একটি জাতির ভবিষ্যত আবর্তিত হচ্ছে। এই সময়ে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতেই হবে। কে ব্রাহ্মণ, কে শূদ্র, কে এলিট আর কে পেয়াদা তা দেখার সুযোগ নেই। সকল ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে পারলেই এই যুদ্ধে জেতা সম্ভব।
অরিন্দম