আর জাল শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই - দৈনিকশিক্ষা

আর জাল শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |
সারাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল সনদ নিয়ে কর্মরত আছেন। জাল সনদধারী কতজন শিক্ষক কর্মরত আছেন সে বিষয়েও সুস্পষ্ট তথ্য নেই শিক্ষা প্রশাসনের কাছে। তবে, জাল সনদে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এন্ট্রিলেভের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
 
জাল শিক্ষকদের চাকরির বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, জাল সনদের যেসব শিক্ষক কর্মরত আছেন তারা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া। এসব শিক্ষকের নিয়োগ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের আগে। নতুন করে জাল সনদধারীদের শিক্ষক পদে নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। 
 
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এনটিআরসিএ শিক্ষকদের নিয়োগ সুপারিশ বা প্রার্থী বাছাই করছে। এ প্রক্রিয়ায় যারা নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করেছেন তারাই জাতীয় মেধাতালিকা স্থান পেয়েছেন। এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কোনো জল সনদধারীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। 
 
তিনি জানান, কোনো শিক্ষক জাল সনদ সংগ্রহ করে থাকলেও তিনি মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। আর তা না হলে তারা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনও করতে পারবেন না। তাই জাল সনদধারীদের শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের কোনো সুযোগ নেই। 
 
এদিকে অনেক জাল সনদধারীরা এনটিআরসিএতে কর্মরতদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জাল সনদ তৈরি করেন বলে অভিযোগ আছে। আবার শিক্ষক পদে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এনটিআরসিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয় ব্যবহার করে টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এনটিআরসিএর কোনো কাজে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। 
 
প্রার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, টাকা দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এনটিআরসিএ কার্যালয়ে এসে খোঁজ নেবেন কিভাবে আমরা এ কাজগুলো করি। সফটওয়্যারে মানুষের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। তাই লোভে পরে কাউকে টাকা না দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 
 
দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েকহাজার জাল সনদধারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন শুরু করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর জাল সনদে কর্মরত ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষককে শনাক্ত করেছে। তাদের তালিকা প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দিয়েছিলো ডিআইএ। তাদের সনদ যে আসলেই জাল তা নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে দৈনিক আমাদের বার্তা ধারাবাহিকভাবে জাল সনদধারী শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করছে। এ তালিকা প্রকাশ শুরুর পর সারাদেশে শুরু হয় তোলপাড়। নড়েচড়ে বসে শিক্ষা প্রশাসনও। জাল সনদধারী বহু শিক্ষক চাকরি ছেড়ে পালাচ্ছেন।
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003817081451416