নতুন প্রজন্মের মনোজগৎকে আমরা শিক্ষিত করতে পারছি না : ড. মেহতাব খানম - দৈনিকশিক্ষা

নতুন প্রজন্মের মনোজগৎকে আমরা শিক্ষিত করতে পারছি না : ড. মেহতাব খানম

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

এককথায় বলতে গেলে আমাদের গোড়ায় গলদ। অর্থাৎ আমরা দেশের নতুন প্রজন্মের মনোজগৎকে শিক্ষিত করতে পারছি না। সার্টিফিকেটের পড়াশোনা মানেই শিক্ষা না। নৈতিক শিক্ষাই আসল শিক্ষা। এটা যেমন পরিবারের, তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এখন মা-বাবা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না, শিশুদের মনোজগৎ সুরক্ষায় কিংবা সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারছেন না। স্কুলে শিক্ষকরাও সঠিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না। তাঁরাও সার্টিফিকেটের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি নেন। ফলে তাঁরাও শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে পারেন না। রোববার (১০ জানুয়ারি ) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়, এর মধ্যে করোনার প্রভাবে এখন অনলাইন শিক্ষার নামে শিশু ও টিনএজারদের বিপথগামী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। যে শিশুরা স্কুলেই সরাসরি শিক্ষকের সামনে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না, তার কাছ থেকে কী করে আমরা অনলাইনে পড়াশোনার আশা করছি। আর টিনএজাররা তো বয়সের কারণে, হরমোনের প্রভাবে এমনিতেই একটু সেক্সুয়াল আকর্ষণে থাকবে। সেটা দেখভাল করার উপায় আমরা সঠিকভাবে অভিভাবকদের শেখাতে পেরেছি, পারিনি। যদি তাই না পারি, অভিভাবকরা কি ঠিকমতো দেখতে পারছেন তাঁর টিএনএজার সন্তানটি পড়াশোনার নামে কী করছে? আবার অভিভাবকদের মধ্যেও তো নানা রকম অবক্ষয় আছে। এখন যেভাবে সবাই ধনী হয়ে যাচ্ছেন রাতারাতি, তাঁদের এই ধনী হওয়ার উৎস কতটা সততাপূর্ণ সেটা নিয়েও তো প্রশ্ন আছে। যদি কোনো পরিবারে অসততার মাধ্যমে আভিজাত্য বা বিলাসিতার আশ্রয় নেওয়া হয়, তবে সেই পরিবারের সন্তানরাও তো সঠিক পথে না চলা এবং সঠিক শিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষা না পাওয়ার কথা।

আমরা এখন যে শিশুর ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেটা তো আমাদের সমাজেরই অবক্ষয়ের চরম এক পরিণতি। এটা তো তাদের একার দায় নয়। আমি তো আজ কেঁদে ফেললাম যখন দেখছি মেয়েটির সহপাঠীরা ছোট ছোট শিশু-কিশোর রাস্তায় নেমে বিচার চায়। কিন্তু কার বিচার চায়, কেন বিচায় চায়, তাদের কেন বিচার চাইতে রাস্তায় নামতে হবে! এটা আমাদের দেশের, রাষ্ট্রের, সমাজের—সবার দায়। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো যৌন শিক্ষার মাত্রা বাড়াতে পারেনি। পরিবারে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না। পরিবারের অভিভাবকরা শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সময়মতো ভাবেন না, সময়মতো তাদের মনোজগৎ বুঝতেও চেষ্টা করেন না। কোনো সমস্যা আছে কি না সেটা জানতে চান না। ফলে সব মিলিয়ে এই খারাপ পরিস্থিতির মুখে আমরা পড়েছি।

লেখক : ড. মেহতাব খানম, মনোবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034871101379395