পশ্চিমবঙ্গ আবার তৃণমূলের হাতেই। এই নিয়ে পরপর তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মোদী-শাহের যাবতীয় প্রয়াস, কৌশল ব্যর্থ। পঞ্চাশ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে যা ভোট পেয়েছিল, এ বার তা চার শতাংশ কমে হয়েছে ৩৬ শতাংশের মতো। ফলে মেরুকরণের চেষ্টা, প্রায় সব রাজ্য থেকে নেতাদের উড়িয়ে এনে ভোটের দায়িত্ব দেয়া, প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ৩০টি জনসভা করানোর মতো বিজেপি-র কোনো কৌশলই কাজে আসেনি। বাংলার মেয়ের উপরেই ভরসা রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ। জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এখন ২১২টি কেন্দ্রে এগিয়ে, বিজেপি ৭৮টি কেন্দ্রে এবং বাম জোট মাত্র একটি কেন্দ্রে এগিয়ে।
তবে ভোটগণনা নিয়ে সব চেয়ে নটকীয় ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনে এক হাজার ২০০ ভোটে জিতেছেন। তবে এখানে অনেকগুলি রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী এগিয়েছিলেন। পরে একবার মমতা, একবার শুভেন্দু এগোন। শেষপর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যে নন্দীগ্রামে জিতে যান মমতা।
নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কাছে বড় ধাক্কার কারণ, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে একশ আসনও ছুঁতে পারছে না। ফলে প্রশান্ত কিশোর বা পিকে যে দাবি করেছিলেন, তা মিলে যাওয়ার মুখে। দক্ষিণবঙ্গে প্রায় একচেটিয়াভাবে জিতছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গও তাদের হতাশ করেছে। যে সব আসন তারা জিতবে ভেবেছিল, তা তারা পায়নি। এরই মধ্যে পিকে ঘোষণা করেছেন, তিনি আর ভোট-পরামর্শদাতার ভূমিকায় থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যকে হাতিয়ার করে পিকে অবসর নিতে চলেছেন।
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
তৃণমূল প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। কংগ্রেস আড়াই ও সিপিএম সাড়ে চার শতাংশ ভোট পেয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা এখন থেকেই জয় পালন করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় শুরু হয়েছে সবুজ আবির খেলা। করোনার কড়াকড়ি না মেনে তারা দলের এই অসাধারণ জয় পালন করতে শুরু করেছেন।