বুয়েট শিক্ষার্থীদের সাত দফা - দৈনিকশিক্ষা

বুয়েট শিক্ষার্থীদের সাত দফা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে সে উত্তাপ। প্রতিবাদী ছাত্ররা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলেছেন, খুনের মামলার চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো- আবরার ফাহাদের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্তকৃত খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার, দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি, বুয়েট ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে উপাচার্যের জবাবদিহি, আবাসিক হলগুলোয় র‌্যাগিংয়ের নামে ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল, আহসান উল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী হলের আগের ঘটনাগুলোয় জড়িত সবার ছাত্রত্ব ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে বাতিল, শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার, মামলা চলাকালে সব খরচ ও আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক বহন প্রভৃতি। 

বুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠী আবরার ফাহাদ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন এবং এ দাবির সঙ্গে দলমতনির্বিশেষে দেশের ১৬ কোটি মানুষের একাত্মতা রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কেউ পার পাবে না। ইতোমধ্যে খুনি প্রায় সবাইকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তার পরও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট বিরাজ করছে এ কারণে যে, এ পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনের কোনো হত্যার বিচার ও অভিযুক্তদের শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার ঘটনা নেই বললেই চলে। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবির প্রতিও সারা জাতির সহানুভূতি রয়েছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের লেজুড়বৃত্তির সম্পর্ক যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। আমাদের বিশ্বাস, বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ নিরসনে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দাবিগুলোর বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0075690746307373