চীনের রাজধানী বেইজিং এখন সবচেয়ে ধনীদের শহর। বিশ্বের অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বিলিয়নেয়ারের বসবাস বেইজিংয়ে। গত মঙ্গলবার বিখ্যাত মার্কিন ব্যবসায় সাময়িকী ফোর্বস তাদের ৩৫তম সংখ্যায় বিলিয়নেয়ারদের এ তালিকা প্রকাশ করে।
ফোর্বস জানায়, গত বছর নতুন ৩৩ জন যোগ হওয়ার পর বেইজিংয়ে এখন মোট ১০০ জন বিলিয়নেয়ার রয়েছেন। এর পরই ৯৯ জন বিলিয়নেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। যদিও মোট সম্পদের হিসাবে চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রই এগিয়ে রয়েছে। সেখানে বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন আট হাজার কোটি ডলার। বিলিয়নেয়ারের সংখ্যার হিসেবে নিউ ইয়র্ক গত সাত বছর প্রথম অবস্থান দখল করে রেখেছিল।
চীনের এ শীর্ষ স্থান পাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্য যেকোনো বড় দেশের তুলনায় চীন দ্রুত করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এ ছাড়া রয়েছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর উন্নতি ও শেয়ারবাজারের উত্থান।
বেইজিংয়ের শীর্ষ ধনী ঝাং ইয়িমিং জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ও বাইটড্যান্সের প্রধান নির্বাহী। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ তিন হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দা সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
করোনা মহামারির কারণে মানুষের মধ্যে অনলাইনে কেনাকাটা ও বিনোদন খোঁজার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। এতে চীন ও মার্কিন প্রযুক্তির বড় বড় কম্পানির ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে আরো বড় হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পদ আরো বাড়ানোর সুযোগ পান। হংকং ও ম্যাকাওকে যুক্ত করায় চীনের এ তালিকায় নতুন ২১০ জন বিলিয়নেয়ার ক্লাবে ঢুকেছেন। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, গত বছর এ তালিকায় নতুন করে ৪৯৩ জন যুক্ত হয়েছেন। সময়ের গড় হিসাবে প্রতি ১৭ ঘণ্টায় একজন করে বিলিয়নেয়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। ১৪০ বিলিয়নেয়ার নিয়ে তালিকায় তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে ভারত। আর এবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা ধরে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। সূত্র : বিবিসি।