রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী স্বাক্ষর সাহার (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে মতিহার থানা এলাকার লোটাস ছাত্রাবাস থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তবে পুলিশ, স্বাক্ষরের বন্ধু ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই মৃত্যু ঘিরে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখছে না।
স্বাক্ষর সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৫তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলা সদরে।স্বাক্ষরের বন্ধু সোহেল রানা জানান, স্বাক্ষর লোটাস ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে একাই থাকতেন। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন দুপুর ১২টার দিকেও ঘরের দরজা খোলেননি। বিষয়টি জানতে পেরে অন্য বন্ধুরা দরজা ভেঙে দেখতে পান স্বাক্ষর অচেতন অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, স্ট্রোক বা অন্য কোনো কারণে স্বাক্ষরের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। ময়নাতদন্তের বিষয়টি তার মা-বাবার ওপর নির্ভর করছে।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার অনেক আগেই স্বাক্ষরের মৃত্যু হয়েছে।
মতিহার থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, রুয়েট ছাত্রের মৃত্যুতে কোনো অস্বাভাবিকতা পায়নি পুলিশ। তবুও মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে তার পরিবার না চাইলে ময়নাতদন্ত করা হবে না।
রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ বলেন, স্বাক্ষর মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। সে পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং ঢাকায় চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।