বরগুনার বেতাগী সবুজ কানন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার দু'দিন আগে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া হয় একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম লাভলুকে। এ বিষয় সাপ্তাহিক বিষখালী কার্যালয়ে একই দিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, মো. আসলাম ও মো. ফারুখ।
শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন আমরা জাহাঙ্গীর আলম লাভলুর সঙ্গে চাকরি করি। যে পাঁচজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, তাদের সঙ্গে পরীক্ষায় জাহাঙ্গীর আলম লাভলু প্রথম হতে পারে না। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বাবুল আক্তার ও অন্যদের যোগসাজশে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনে উত্তর পৌঁছে দেওয়া হয়। তাদের সহযোগিতায় বিপুল অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয় সম্পন্ন হয়।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মো. মামুন বলেন, পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, পুনরায় পরীক্ষা হলে নিয়োগকৃত শিক্ষক অকৃতকার্য হবেন।
পরীক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, আমার ধারণা লিখিত পরীক্ষায় আমি প্রথম হয়েছি। মৌখিক পরীক্ষায় অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর প্রশ্ন করে আমাকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে।
সবুজ কানন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বাবুল আক্তার বলেন, শিক্ষক নিয়োগে টাকা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।