রিনা বেগম (৭০)। বয়সের ভারে অনেকটাই ন্যুয়ে পরেছেন। রোগবালাইয়ে শরীরটাও ভাল যাচ্ছে না তার। স্বামী মো. মকবুল হোসেন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে ও মেয়ে নাতনিকে নিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করে আসছিলেন। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ভিটা। দুটো ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে এক কাপড়ে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধে। অসময়ের বন্যায় অন্যের বাড়িতে কাজ করতে না পেরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাঁটাতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ পুরাতন বাজার বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন এ অসহায় পরিবারটি। ছোট একটি ঝুপড়ি ঘরে গৃহপালিত পশু-পাখির সঙ্গে গাদাগাদি করে বাস করছেন।
ঝুঁপড়িতে আশ্রয় নেয়া রিনা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘কাম না কইরলে পেটত ভাত যায়না বাপ, ছাগল ও হাঁস-মুরগিকে খাওয়াইম কি। বান আইসলে হামারগুলের কষ্ট শেষ হয় না।’
জানা গেছে, বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় রিনা বেগমের মতো অনেকের দূর্ভোগ বাড়ছে। বিভিন্ন উচু জায়গা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনে আশ্রয় নিচ্ছেন দুর্গতরা। অসময়ের বন্যায় রাস্তা-ঘাট, জমিজমা তলিয়ে যাওয়ায় তাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়েছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বন্যার্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দুর্যোগের এ সময়ে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।