রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের মহত শিল্পস্রষ্টা, এক সার্বভৌম প্রতিভা। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সংগীত বিভাগ।
গত ২৫ বৈশাখ (৮ মে) ছিলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনমুখী গানের মাধ্যমে জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-সৃষ্টির গান গুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'হে নতুন দেখা দিক আরবার' গানটি সমবেতকন্ঠে গাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে একে একে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনমুখী গান করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। 'ওই মহামানব আসে' গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ত্ব করেন সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। সঞ্চালনা করেন প্রভাষক নুসরাত জাহান প্রভা।
চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ বলেন, একটু দেরি হলেও কবি গুরুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। জীবনকে উপলব্ধি করতে হলে জীবন সুরের সর্বস্পর্শী স্রষ্ঠা রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। তার সুরের চর্চায় জীবনকে রাঙ্গাতে হবে। শিখতে হবে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার গান।
তিনি আরও বলেন, স্বার্থের জঠরের মধ্যে মানুষ যখন নিদ্রিত থাকে তখন অনায়াসেই কাল যাপন করে কিন্তু যুগে যুগে মানুষের স্বার্থের সম্পর্ক টেকে না। আমাদের স্বার্থপরতা, সামাজিক যোগাযোগের নামে তৈরি হওয়া পরম নৈসঙ্গ্য জীবন সম্পর্কে সমস্ত বিস্ময়কে হারিয়ে ফেলবার কারণ হয়েছে। পারঃস্পারিক সহমর্মিতা ও শিল্পচর্চার মাধ্যমে আমাদের যে মহৎ বিস্ময় ফিরে আসবে এমন আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ”ওই মহামানব আসে” গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বাঙালির জীবনে অতপ্রভাবে জড়িয়ে আছে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জীবন সংসারে এমন কোন স্থান নাই যেখানে তিনি পদধুলি রাখেননি। খাটি মানুষ হতে হলে আমাদের সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।