কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পাচারের সময় ৫০বস্তা ইউরিয়া সার আটক করেছেন স্থানীয় জনতা। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা সদর থেকে পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচার করার সময় উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকায় রাস্তা থেকে সারের বস্তা ভর্তি পিকআপ ভ্যান আটক করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়,ইউরিয়া সার বেশি দামে বিক্রির জন্য পাশ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচার হয়ে যাচ্ছিল। সোমবার রাত ৯টার দিকে রমনা ইউনিয়নের খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকায় পিকআপ ভর্তি ৫০বস্তা সার নদীর ঘাটে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা পিকআপটি আটক করে। এসময় চালক সার ক্রয়ের ভাউচার দেখাতে না পাড়ায় এবং ক্রেতার নাম প্রকাশ না করায় উপজেলা কৃষি অফিসার ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়। ঘটনাস্থলে কেউ ওই সারের মালিকানা দাবী করেনি। উপজেলা কৃষি অফিসার ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা তাদের মাঝে সার বিলি করার দাবিতে হৈচৈ শুরু করে। পরে, থানা পুলিশের সহায়তায় সার ভর্তি পিকআপটি চিলমারী থানায় জব্দ করা হয়।
স্থানীয় ছক্কু মিয়া, এরশাদুল হক, আব্দুস সালাম, মোকছেদ আলীসহ অনেকে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান,বেশি দামে ইউরিয়া সার বিক্রির জন্য প্রতিদিন এই পথে নৌকা যোগে সার সুন্দরগঞ্জে চলে যায়। ১ হাজার ১০০ টাকা দরের বস্তা ওই পারে ১ হাজাার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন ডিলাররা।
আনোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান, আসাদুল হকসহ অনেকে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জমি আবাদ করে আমরা জমিতে সার দিতে পাচ্ছি না, ডিলারদের ঘরে ইউরিয়া নিতে গেলে বলে সার নেই। কখনো কখনো নষ্ট সার নিতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষান দাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, খবর পেয়ে রাতের আঁধারে পাচার হয়ে যাওয়া সার আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। যেহেতু সারের মালিক নেই তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সার বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আতিকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান,পাচার হয়ে যাওয়া সার কৃষি অফিসার জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে রেখেছেন। তিনি যে প্রক্রিয়ায় যাবেন আমরা সেভাবেই আইনি সহায়তা দেবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মাহবুবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আটককৃত ইউরিয়া সার এলাকাবাসীর মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে।