কুমিল্লার মুরাদনগরে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগী। গ্রীষ্মে এ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এবার শরতে এর প্রকোপ বেড়েছে । চোখ ওঠার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাচ্ছে না। চিকিৎসাকেন্দ্রে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা।
জানা যায়, মুরাদনগর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তাছাড়া, চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার ও পল্লী চিকিৎসকদের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ভাইরাসজনিত রোগ। এতে ভয়ের তেমন কোনো কারণ নেই। কারো চোখে তাকালেই চোখ ওঠা রোগ হয় না। তবে এ রোগ ছোঁয়াচে, এটির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো কিছু না ছোঁয়া ও তাদের ব্যবহারের জিনিস আলাদা করতে হবে।
কনজাংটিভাইটিস (চোখ ওঠা) রোগ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আলম। তিনি বলেন, কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ এ সময়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সমস্যা থেকে তিন চার দিনের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়। এসময় তিনি আক্রান্ত রোগীকে চক্ষু চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে আহ্বান করেন। সেই সঙ্গে কিছু সাধারণ পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হল, চোখে কালো গ্লাসের চশমা ব্যবহার, রোদে যথাসম্ভব কম যাওয়া, চোখে হাত না-দেওয়া, চোখ পরিষ্কার করতে নরম টিস্যু ব্যবহার করা, পুকুর বা নদীনালায় গোসল না করা, রোগীর ব্যবহৃত তোয়ালে বা অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা রাখা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া।
তিনি আরও বলেন, এ রোগের বিষয়ে না ঘাবড়িয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ সমস্যা থেকে অল্প সময়ে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।