ভোলার চরফ্যাশনে একটি দেশি হাঁস কালো ডিম দিয়েছে। এ নিয়ে পুরা এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যের। উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের পশ্চিম জিন্নাগড় দাসকান্দি গ্রামের আবদুল মন্নান রাঢ়ী বাড়ীর সৌদি প্রবাসি আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পালিত হাঁসটি গত মঙ্গলবার কালো ডিম পাড়ে।
তাসলিমা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তার ১১টি দেশি হাঁসের মধ্যে ৮ মাস বয়সের একটি হাঁসটি প্রথমবারের মতো ডিম দিতে শুরু করেছে। প্রথম দিনে দেয়া এ ডিমের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ও একেবারে কালো দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। পরে ডিমটি বাড়ির অন্যদের দেখালে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ডিমটি দেখতে তার বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তার জানামতে, হাঁস এ ধরনের কালো ডিম পেড়েছে এই প্রথম। জিংডিং জাতের এক প্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়। কিন্তু কোনো হাঁস কালো ডিম পেড়েছে, সেটা কখনো শুনিনি।
তিনি বলেন, ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগী কালো ডিম পারে। এর মাংসও কালো। হাঁস কালো ডিম পাড়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোন সমস্যা হতে পারে। আগামী দিনগুলোতেও যদি এ হাঁস কালো ডিম পাড়ে, তাহলে হাঁস ও ডিম পরীক্ষাগারে পাঠাবেন বলে জানান তিনি।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে কী কারণে এ হাঁস কালো ডিম পেড়েছে। যদি দেখা যায় এই হাঁসটি ধারাবাহিকভাবে কালো ডিম পাড়ছে তাহলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গবেষণাগারে হাঁস ও ডিম পাঠানো হলে সঠিক কারণ জানা যাবে।