সেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫১ জন শিক্ষার্থী ও পাঁচজন শিক্ষককে প্রতিদিন হাঁটুপানি কোমরপানি ঠেঙিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। স্কুলে যাওয়া আসার যে রাস্তাটি, তা এতই নিচু যে, প্রায় সারাবছরই পানির নিচে ডুবে থাকে। রাস্তাটি মেরামতের ব্যাপারে প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে মাপজোঁক নেয়া হলেও এক বছর ধরে তার কোনো খবর নেই।
সেরাজপুর-ওয়াশিন আঞ্চলিক পাকা সড়কটির গা ঘেঁষে সেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাস্তাটির দুই পাশের স্থায়ী বাসিন্দাদের একজন বাড়ির উঠানে মাটি ফেলে উঁচু করেছেন। আরেকজন জমি উঁচু করে ইউক্যালিপটাস গাছের বাগান করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছেন। সরু রাস্তার এপাশে-ওপাশে মাটি ফেলায় ওই রাস্তাটিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার রূপ নিয়েছে। বিকল্প না থাকায় শিক্ষার্থীদের পানি ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী মালিহা খাতুন, সাব্বির আহমেদ, মীম, মিথিলা সরকার, শিহাবউদ্দিন, খাইরুল ইসলাম, অন্তরা পারভিনসহ অনেকে জানায়, কারো হাঁটু পানি হলেও অনেকের কোমর পানি। শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা কোমর পানিতে ভিজে স্কুলে যাতায়াত করে। অনেক সময় বই-খাতা পানিতে ভিজে যায়। নোংরা পানি আর কাদায় হেঁটে পায়ে ঘা ধরে যায়। যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ রেখেছেন।
প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন, যাতায়াতের ওই ডোবা রাস্তাটুকুও মালিকানাধীন। তবু এর মালিকরা তারা বিদ্যালয়ের স্বার্থে ফাঁকা রেখেছেন। প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে রাস্তাটির মাপ নেওয়া হয়েছে। বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খবর নেই। প্রকৌশলী মোঃ বাবুল আক্তার বলেন, প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে ঠিকই। তবে এখনও কিছু জানা যায়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শিগগিরই রাস্তাটিতে মাটি ফেলে উঁচু করা হবে।