পর পর দু'দিন দুই শিক্ষকের ওপর হামলার পর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার পটকা ফোটানোর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ মার্চ) দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে পটকা ফোটার বিকট শব্দে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। স্কুলটিতে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন অভিভাবকরা। এসব ঘটনার জন্য স্কুলের পরিচালনা কমিটির একক আধিপত্যকেই দায়ী করছেন অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন।
নিমসার উচ্চ বিদ্যালয়ে গত সোমবার সহকারী শিক্ষক আমির হোসেনের ওপর এবং মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক আবদুল হকের ওপর হামলার রেশ না কাটতেই বুধবার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ক্লাসরুম বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে। বিকেলে স্কুল ছুটির ৫ মিনিটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। গত দু'দিনে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে।
দুই ছাত্রীর অভিভাবক জানান, ছাত্রদের হাতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক আহত হওয়ার পর আবার ক্লাসরুমে বিস্ফোরণ ঘটল। আমার দুই বোন এখন বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। তারা এ বিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিদ্যালয়ে যেতে চাচ্ছে। প্রথম দিনের ঘটনার পর অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিলে পরবর্তী ঘটনাগুলো আর ঘটত না। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এসব ঘটনা ঘটছে। আরও কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের দ্বন্দ্বের জের ধরে এসব ঘটনা ঘটছে। এ জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি পরিবর্তন করে নিরপেক্ষভাবে নতুন কমিটি করতে হবে।
প্রধান শিক্ষক আবদুল হক জানান, বুধবার বিকেল ৪টায় বিদ্যালয় ছুটির ৫ মিনিট পর দশম শ্রেণির কক্ষে বিকট শব্দ শোনা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করে। ওসি মনোজ কুমার দে জানান, দশম শ্রেণির কক্ষ থেকে বিস্ফোরিত পটকার আলামত পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।