ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজে ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষার ফরম পূরণের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নাসিরনগর সরকারি কলেজের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের অনুষ্ঠিতব্য ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার ৫৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। যদিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি এক হাজার ৫৫০ টাকা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ডিগ্রি পরীক্ষায় ফরম পূরণের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন খাত দেখিয়ে বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
নাসিরনগর কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজে ডিগ্রি (পাস) কোর্সের প্রথম বর্ষে ১০৫ শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ফরম পূরণের শেষ তারিখ ছিল ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের জন্য ফরম পূরণের তারিখ আরও বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত নাসিরনগর সরকারি কলেজের ডিগ্রি (পাস) কোর্সের প্রথম বর্ষের ১০৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৫ জন ফরম পূরণ করেছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম নিশাত জানান, ডিগ্রি (পাস) কোর্সের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণের নির্ধারিত ফি এক হাজার ৫৫০ টাকা। তিনি বলেন, আমার কাছে অনেকেই ফোন করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষার প্রথম বর্ষের ফরম পূরণের ফি ৮০০ টাকা, সার্টিফিকেট কোর্স ফি ৩০০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৫০ টাকা। ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য সরকার এক হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। অথচ নাসিরনগর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ৩ হাজার ৭০০ টাকা করে নিচ্ছে।
যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্সের প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ বাবদ এক হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে, সেখানে নাসিরনগর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা পরিপন্থি হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকা আদায় করার পরিকল্পনা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ আত্মসাৎ করবে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এবং একাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্তে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কোনো অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়নি।