অদম্য মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিময় দিন - দৈনিকশিক্ষা

অদম্য মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিময় দিন

মো. সিদ্দিকুর রহমান |

বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজউল্লাহ শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের মধ্য দিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। নানা পেশার লোভ-লালসার মোহ তাকে আকৃষ্ট করে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর উপজেলার চরপাগলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫মে পিতা মো. আলী পাটোয়ারী ও মাতা আঞ্জুমান খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জ্ঞানের আলোকবর্তিকা আলহাজ্ব মফিজউল্লাহ। ধর্মপরায়ণ পরিবারের সদস্য হিসেবে সাত বছর বয়স থেকেই পবিত্র কোরআন শরীফ শিক্ষা গ্রহণ করেন, পরবর্তীতে স্থানীয় চর জাঙ্গালীয়া খাসেরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। কাজিরহাট মিল্লাত একাডেমীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি পিতৃহারা হন। বড় ভাই হাবিবউল্লাহ মেম্বার ও মায়ের কঠোর শাসন ও অনুপ্রেরণায় শিক্ষা জীবন সফলভাবে সমাপ্ত করেছিলেন। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে নোয়াখালী মাইজদি শহরের বিভিন্ন দেয়ালের ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই’, ‘ছয় দফা মানতে হবে’ লেখাগুলো তাঁর মনে ভীষণভাবে নাড়া দেয়।

দেয়ালের এ লেখাগুলো তাকে ভাবনার সাগরে ফেলে দেয়। এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ অফিস থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র এবং ছয় দফার কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে বিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রলীগ কমিটি গঠন করেন। কমিটি সভাপতির দায়িত্ব নেন উদীয়মান ছাত্রনেতা আজকের বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজউল্লাহ মাষ্টার। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তাঁরই বন্ধু আহমদ উল্লাহ। আওয়ামী লীগ নেতা নূর নবী চৌধুরীর হাজিরহাট বাজারের ছাত্রলীগের অফিস থেকে আইউব বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়েছিলো। ছাত্র-শিক্ষক ও আমজনতার তীব্র আন্দোলনে আইউব খান শেখ মুজিবকে জেল থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হোন। ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা তোফায়েল আহমেদ পল্টন ময়দানে বিশাল ছাত্র জনসভায় শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছাত্র-জনতার উল্লাসময় করতালিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে ভাষণ প্রদান করেন। ২৮ মার্চ ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দ রাতে আইউব খান পদত্যাগ করেন। জারি হলো ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন। ঢাকাসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে উত্তাল পরিস্থিতে ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হোন। সারাদেশ যেন আনন্দে মাতাল। রাস্তায় জনতার শ্লোগান ‘ঢাকা না পিণ্ডি, ঢাকা, ঢাকা’। ‘তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’। বঙ্গবন্ধু সারা বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন। এ সুবাদে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ মে বঙ্গবন্ধু রামগতি সফরে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন মরহুম মনহর আলী কন্ট্রাক্টরের জীপ গাড়িতে চড়ে সভাস্থল জমিদারহাটস্থ তোরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসমাবেশে আগমন করেন। তখন কাঁচারাস্তা ধুলাবালিতে বঙ্গবন্ধুর পরিহিত মুজিব কোট একাকার হয়ে গিয়েছিল। সে সময় তৎকালীন ছাত্রনেতা ও ডাকসুর ভিপি আ.স.ম আব্দুর রব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজউল্লাহ ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে বঙ্গবন্ধুর শরীরের ধুলোবালি পরিস্কার করে দিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পূর্বে জমিদারহাট বাজারের পাশে তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘ ও জামাতে ইসলামী কিছু সন্ত্রাসী দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজল্লাহ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তৎকালীন এমপি প্রার্থী এম সিরাজুল ইসলাম বিষয়টা বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেছিলেন। এ সুবাধে তিনি বঙ্গবন্ধুর সহচার্যে আসেন। বঙ্গবন্ধুর আগমনের পর থেকে বিরামহীনভাবে তিনি রামগতির প্রত্যন্ত অঞ্চলে সভা-সমাবেশ করে জনমনে পাকিস্তানী শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি প্রয়াস চালিয়েছেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখ লোকসহ অসংখ্য জীবজন্তুর প্রাণহানি ঘটে। এ ঘুর্ণিঝড়ের সংবাদ তৎকালীন রেডিও ও টেলিভিশন প্রচার না করায় বিপুলসংখ্যক জানমাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু ১৪ নভেম্বর হাতিয়া হয়ে রামগতিতে আগমন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহত লোকদের সমবেদনা জানিয়ে পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের প্রতি বাঙালি নিধনের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছিলেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলো। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করে ১ মার্চ অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেছিলো। ১ মার্চ থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়লো। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কল-কারখানাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ৭ মার্চ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ লাখ জনতার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু দীপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করে ছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের ভাষণ শোনার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল্লাহ এলাকার সাবেক আনসার, পুলিশ ও ইপিআরের সমন্বয়ে তৎকালীন রামগতি থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম এ কে এম ফজলুল হক সাহেবের বন্দুক দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করলেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর হাতিয়ার রামগতি বি,এল,এফ জোন কমান্ডার মোশাররফ হোসেন ও এম এ তাহেরের নেতৃত্বে রামগতির মিলিশিয়া ও রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে ৪৫টি রাইফেল ও দশ হাজার বুলেট উদ্ধার করেছিলো। পরের দিন তিনিসহ ৪০ জন যুবক উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে গমন করেছিলেন। রামগতিকে দু’ভাগে ভাগ করে উত্তর এলাকায় এম এ তাহেরকে আর দক্ষিণ এলাকা হাসান মাহমুদ ফেরদৌসকে কমান্ডারের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিলো। ভারতে যাওয়ার পূর্বে মফিজুল্লাহ মায়ের পা ছুঁয়ে সালাম ও দোয়া নিলেন। মা মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘আল্লাহ চায় তো বিজয়ী হয়ে ফিরে এসো’। ভারতে ৪২ দিন প্রশিক্ষণ শেষ করে দায়িত্ব পেলো চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনপদে। সে সময় ৯ নভেম্বর বিলাইছড়ি রুপপুর এলাকায় পাকিস্তানি আর্মির সাথে সম্মুখ যুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত বাবু আহত হন। তাদের দলে ৩শ’ মুক্তিযোদ্ধাসহ কাপ্তাই, চন্দ্রঘোনা, পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে বিজয়ের বেশে আগমন করেন। সেখানে বিএলএফ প্রধান যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল মনির কাছাকাছি আসেন। সর্বশেষ বিজয়ী বেশে নিজের এলাকার চর লরেন্স এলাকার শত্রুমুক্ত করে ফেলেন। তখন হাজার হাজার জনতা বাসস্ট্যান্ড দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানানোর স্মৃতি আজও তাঁর মনে ভেসে বেড়ায়। পিতৃতুল্য বড় ভাইকে সালাম জানিয়ে মাকে দেখার জন্য মরহুমা বোনের বাড়িতে যান। রাজাকার কর্তৃক বড় ভগ্নিপতিকে হত্যা করার পর তাঁর আরেক বোন এ শোক সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সে সময় তাঁর মুখে ছিল লম্বা দাড়ি, লম্বা চুল, তারপরও মা ঠিকই তাকে চিনে ফেললো। বিজয়ের পতাকা নিয়ে মাকে সালাম করে ক্যাম্পে ফিরে আসেন। ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিজ্ঞা ছিলো, যতোদিন বঙ্গবন্ধু তাঁদের মাঝে ফিরে না আসে, ততোদিন তারা অস্ত্র জমা দিবে না। ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু তাঁদের মাঝে ফিরে এলেন। ২০ তারিখ ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর পদতলে তাঁরা অস্ত্র জমা দেন। তখন সর্বসম্মতিক্রমে মফিজ উল্লাহ সাহেবের বড় ভাই মরহুম এ কে এম ফজলুল হককে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলের মানুষের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে নিজ বাড়ির সামনে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উল্লাহ। মায়ের নির্দেশ ও তৎকালীন শিক্ষা অফিসার আবু ইউসুফ ভূঁইয়ার অনুপ্রেরণায় দেশ গড়ার প্রত্যয়ে শিক্ষকতা পেশা বেছে নেন তিনি। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষকদের ঐতিহাসিক বেসরকারিকরণসহ সকল আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর জেলার সভাপতি হিসেবে সংগ্রামী ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে কষ্টের স্মৃতি ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে পিটি প্রশিক্ষণকালীন বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণের খবর শুনে তিনি সাত ঘন্টা অচেতন ছিলেন। তিনি দুঃখভরা মন নিয়ে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে আজও বেঁচে আছেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। আজও প্রাথমিক শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী প্রজন্ম তথা প্রাথমিক শিক্ষকরা তাঁর ঐতিহাসিক অবদানের কথা চিরদিন স্মরণ রাখবেন। তাঁরই কর্মপ্রেরণায় দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। 

জয় বাংলা। জয় হোক এদেশের বরেণ্য সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধার।

লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ ও সম্পাদকীয় উপদেষ্টা, দৈনিক শিক্ষাডটকম 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড - dainik shiksha ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি - dainik shiksha ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট - dainik shiksha মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা - dainik shiksha অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল - dainik shiksha ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031299591064453