অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ - Dainikshiksha

সরকারি শহীদ আবদুস সালাম কলেজঅধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি |

‘সরকারি কলেজে বেতন কম ধরা হয়েছে, তাই ভর্তিতে কোনো টাকা কম নেয়া হবে না।’ অধ্যক্ষের এমন ঘোষণার মধ্য দিয়ে চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তিকে পুঁজি করে নড়াইলের কালিয়ার সরকারি শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ আড়াই লাখ টাকার বাণিজ্য চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের ওই অর্থ বাণিজ্যের বিচার দাবিতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া তিন শিক্ষার্থী নড়াইলের জেলা প্রশাসকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি এক হাজার টাকা ধার্য করে সরকার পরিপত্র জারি করলেও কালিয়ায় সরকারি শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারের সাড়ে ৩০০ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৯০০ টাকার বাণিজ্য চালিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য এক হাজার ৮০০ টাকা ও অন্যান্য বিভাগে এক হাজার ৭০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। ছাত্র ও অভিভাবকরা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে আপত্তি তুললে কলেজের অধ্যক্ষ তপন কুমার দাস তাদের বলেছেন, সরকারি কলেজে বেতন কম ধরা হয়েছে, তাই ভর্তিতে কোনো টাকা কম নেয়া হবে না। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে কর্তৃপক্ষের কঠোর মনোভাবের কারণে অনেক ছাত্রই ধার-দেনা করে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

একাধিক ছাত্র ও অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, শুধু ভর্তি ফির নামেই অর্থ আদায় করেনি কর্তৃপক্ষ। ভর্তির আবেদন ফরমও তাদের কাছে ১০০ টাকা হারে বিক্রি করা হয়েছে।

 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী আবেদন ফরম কিনে তা জমা দেয়া হয়। এরমধ্যে ১০ জন বিজ্ঞান বিভাগে ও ৩০৭ জন অন্যান্য বিভাগে ভর্তি হয়েছে। 

অধ্যক্ষ তপন কুমার দাস অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফিসহ ৮০০ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০ টাকা হারে এক বছরের বেতন, স্কাউট ফি, মন্দির, মসজিদ ও বিদ্যুৎ খরচ বাবদ কলেজ পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য টাকা আদায় করা হয়েছে। যা এক হাজার ৭০০ ও এক হাজার ৮০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। 

কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও কালিয়ার ইউএনও নাজমুল হুদা বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034089088439941