জেলার ধামইরহাটে মাদরাসা সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বেতন-ভাতার কাগজ দাখিলের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদের বিরুদ্ধে। উপজেলার বড়থা ডিআই ফাজিল মাদরাসায় এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর অভিযুক্ত অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই মাদরাসার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, মাদরাসার অধ্যক্ষ চলতি মাসের ৭ তারিখে সভাপতির স্বাক্ষর জাল ও কমিটির সভা না করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। এরপর সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে আরবি প্রভাষক আবদুল হামিদ, অফিস সহকারী-কাম হিসাব সহকারী হাবিবুর রহমান, নিরাপত্তা কর্মী মোজাম্মেল হক ও আয়া পদে রাশেদার এমপিওভুক্তির জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করে উপপরিচালক বরাবর দাখিল করেন। মাদরাসাটি ফাজিল হলেও আলিমস্তর পর্যন্ত এমপিওভুক্ত রয়েছে।
বিষয়টি জানার পর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম তার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ এনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সোমবার উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, রাজশাহী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ বলেন, এসব শিক্ষক-কর্মচারী ২০০৪-০৫ সালে ফাজিলস্তরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের বর্তমান জনবল কাঠামো অনুসারে আরবি প্রভাষক ও অফিস সহকারী-কাম হিসাব সহকারীকে নবসৃষ্ট পদ দেখিয়ে এবং নিরাপত্তাকর্মী ও আয়াকে শূন্যপদে সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাদরাসার কার্যনির্বাহী কমিটির অধিবেশনের রেজুলেশন, অন্যান্য কাগজপত্রে সভাপতি ও অন্য সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়ার জন্য ওই চারজন শিক্ষক-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তারা কিভাবে সভাপতি ও অন্যদের স্বাক্ষর নিয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বর্তমানে অসুস্থ এবং করোনার কারণে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ধামইরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, বড়থা ডিআই ফাজিল মাদরাসার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করার বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।