অনশনের দুই দিনে অসুস্থ ৩৯ মাদ্রাসা শিক্ষক - Dainikshiksha

অনশনের দুই দিনে অসুস্থ ৩৯ মাদ্রাসা শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতীয়করণের দাবিতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) আমরণ অনশনে যাওয়ার পর দুই দিনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৩৯ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর অসুস্থ দুই শিক্ষককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনশনে অনেক নারী শিক্ষকের সঙ্গে তাঁদের বাচ্চারাও অবস্থান করছে। তীব্র শীতে খোলা আকাশের নিচে বসে থেকে শিশুরা কাহিল হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষক সমিতির এ নেতা বলেন, বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দিনের অনশনে ৩৯ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে নাসির উদ্দিন জুয়েল ও আইয়ুব আলী নামের দুই শিক্ষককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অনশন স্থলে স্যালাইন ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশনে নামেন। কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাস পেয়ে তাঁরা অনশন ভেঙে ফিরে যান।

জাতীয়করণের দাবিতে আট দিনের টানা অবস্থান কর্মসূচি শেষে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে অনশন শুরু করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আলহাজ কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন,দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরি করতে করতে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জাতীয়করণ ছাড়া আমাদের আর ভিন্ন কোনো পথ খোলা নেই। সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছে। আমরাও তো প্রাথমিক শিক্ষার অন্যতম অংশ। তাহলে আমাদের কেন বাকি রাখা হবে? আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি ঠিকমতো বোঝালে তিনি নিরাশ করবেন না। তাই আমরা তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছি।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম হিরন, মাওলানা মো: শাহজাহান, তাজুল ইসলাম ফরাজী,যুগ্ম মহাসচিব আবু মুসা ভূইয়া, দপ্তর সম্পাদক ইনতাজ বিন হাকিম,সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম, আজিজুল হক, মিজানুর রহমান, আব্দুল হামিদ, ময়েজ উদ্দিন,ইমদাদুল হক বাদল,তৈয়বুর রহমান, সুমি খাতুন,ফরিদা ইয়াসমিন,ফেন্সী খাতুন,নাসরিন বেগম প্রমুখ

গাইবান্ধার ১ নম্বর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় তরিবর রহমান ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। তিনি দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘বেতন না পেয়ে কত দিন চলা যায়? সামান্য জমি চাষ করে সংসার চালাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই মানবেতর জীবন যাপন করছি। বেতন না পেলেও নিয়মিতই মাদরাসায় যেতে হয়। এখন আমাদের আর বাড়ি ফিরে গিয়ে লাভ নেই। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।’

বরিশালের করিবাহী চর স্বতন্ত্র মাদরাসার শিক্ষক জেসমিন আক্তার। তিনি তাঁর চার বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অনশনে বসেছেন। তিনি বলেন, ‘স্বামীর সামান্য আয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসায় শিক্ষকতা করছি। কিন্তু কোনো বেতন পাই না। গত ৯ দিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছি। বাচ্চাকে বাড়িতে কার কাছে রেখে আসব? তাই সঙ্গে রেখেছি। বাচ্চাটার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এর পরও রয়েছি। কারণ দাবি আদায় ছাড়া আমাদের আর বাড়ি ফিরে যাওয়ার উপায় নেই।’

জানা যায়, মাদরাসা বোর্ডের নিবন্ধন পাওয়া ১০ হাজারের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা আছে। এতে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। মাত্র এক হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক দুই হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন।

গাইবান্ধার ১ নম্বর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় তরিবর রহমান ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। তিনি দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘বেতন না পেয়ে কত দিন চলা যায়? সামান্য জমি চাষ করে সংসার চালাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই মানবেতর জীবন যাপন করছি। বেতন না পেলেও নিয়মিতই মাদরাসায় যেতে হয়। এখন আমাদের আর বাড়ি ফিরে গিয়ে লাভ নেই। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।’

বরিশালের করিবাহী চর স্বতন্ত্র মাদ্রাসার শিক্ষক জেসমিন আক্তার। তিনি তাঁর চার বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অনশনে বসেছেন। তিনি বলেন, ‘স্বামীর সামান্য আয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছি। কিন্তু কোনো বেতন পাই না। গত ৯ দিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছি। বাচ্চাকে বাড়িতে কার কাছে রেখে আসব? তাই সঙ্গে রেখেছি। বাচ্চাটার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এর পরও রয়েছি। কারণ দাবি আদায় ছাড়া আমাদের আর বাড়ি ফিরে যাওয়ার উপায় নেই।’

জানা যায়, মাদরাসা বোর্ডের নিবন্ধন পাওয়া ১০ হাজারের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা আছে। এতে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। মাত্র এক হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক দুই হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন।

কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.019953012466431