অনিয়মে ভরপুর ঘাটাইলের শেখ ফজিলাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় - স্কুল - দৈনিকশিক্ষা

অনিয়মে ভরপুর ঘাটাইলের শেখ ফজিলাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়

রুমি আক্তার পলি, টাঙ্গাইল |

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ছনখোলা এলাকায় শেখ ফজিলাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠেছে। দৈনিক শিক্ষা ডটকমের রিপোর্টার সরেজমিনে স্কুলটি ঘুরে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের আগেই কিছু শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসেছে। এই শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষার জন্য স্কুলে কোচিং করতে এসেছেন।

জানা যায়, স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ৮০ থেকে ৯০ জন। কোচিংয়ের জন্য জনপ্রতি এক হাজার টাকা করে ফি নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক বিউটি বেগম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক একরকম জোরপূর্বক এই টাকা আদায় করেছেন। তার ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই অভিভাবক।

এই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য জানান, গত বছরের শেষ দিকে তিনটি পদে-- প্রধান সহকারী, অফিস সহায়ক ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়। অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্ত্রী। নিয়োগ পরীক্ষায়  অংশই না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থীরা ছোট বোনকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। 

এই নিয়ে একটি মামলাও আছে। মামলা করেছিলেন চারজন ভুক্তভোগী, যাদের থেকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে হুমকির মুখে তিনজন মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়। তবে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই অফিস সহায়ক প্রতি মাসে বেতন ভাতা তুলছেন। তিনি আরো বলেন, এই নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। 

দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের চেয়ারের পাশেই সভাপতির  আলিশান চেয়ার। অফিস সহায়ক পদে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সভাপতির স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের কাজ না করে স্বামীর চেয়ারের অপব্যবহার করছেন। স্কুলটির শিক্ষক-কর্মচারীর শিশু সন্তানদের পরিচর্যা করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই । প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেন নি।  

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বিউটি বেগম বলেন, সে নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন। আর মামলার কপি আসার আগেই আমরা ইনডেক্স নম্বর পেয়েছি। বেতন ভাতা তুলতে কোনো সমস্যা নেই। মামলায় আমরা সময়মতো হাজিরা দিচ্ছি। 

এদিকে ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী জানান, তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। প্রয়োজনে অফিস সহায়ক রুমির আবার পরীক্ষা নেওয়া হোক। আমরা চ্যালেন্জ দিয়ে বলতে পারি সে কিছুই লিখতে পারবেন না। পরীক্ষার খাতায় যা লিখেছেন তা তার বোন লিখেছেন। আর মামলার আগে কখনো ইনডেক্স নম্বর আসেনি।

১৯৯৬ ও ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দেও এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। বিস্তারিত শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। 

সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পরীক্ষায় ভর্তি, গঠন হচ্ছে এনটিএ - dainik shiksha সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পরীক্ষায় ভর্তি, গঠন হচ্ছে এনটিএ ঈদের আগে শতভাগ উৎসব ভাতা চায় মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন - dainik shiksha ঈদের আগে শতভাগ উৎসব ভাতা চায় মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়ায় কেজরিওয়ালকে জরিমানা - dainik shiksha মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়ায় কেজরিওয়ালকে জরিমানা প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগ, গ্রেফতার ১ - dainik shiksha প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগ, গ্রেফতার ১ রাজধানীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত - dainik shiksha রাজধানীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করলেন স্কুলছাত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করলেন স্কুলছাত্রী রিকশাচালক থেকে যেভাবে প্রভাষক হলেন মমিনুর - dainik shiksha রিকশাচালক থেকে যেভাবে প্রভাষক হলেন মমিনুর দেশকে এগিয়ে নিতে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে : আমু - dainik shiksha দেশকে এগিয়ে নিতে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে : আমু please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0083098411560059